দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। অন্যদিকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। যা গতকালকে বিক্রি হয়েছিল ১৪০ টাকা দরে এবং ভারত থেকে আমদানিকৃত জিরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কমে ১ হাজার ৪০ টাকায়।
আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বেশি এবং বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম থাকায় কমতে শুরু করেছে দাম। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। মনিটরিং করলে বাজার আরো নিয়ন্ত্রণে আসতো বলে মনে করেন সচেতন মহল।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে পেঁয়াজের মান আগের থেকে কিছুটা খারাপ। বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ ভালোভাবে দেখে নেওয়া যাচ্ছে না। ১০ টন পেঁয়াজ কিনলাম। প্রতি কেজি নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫২ টাকা কেজি দরে কিনলাম।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় এবং কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৪০ টাকা কমেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়েই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। যার ফলে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত সরকার যদি শুল্ক প্রত্যাহার করে তাহলে দাম আগের মতোই স্বাভাবিক হবে। অন্যদিকে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে দাম অনেকটাই কমেছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম স্বাভাবিক থাকবে।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার ভারতীয় ২৮ ট্রাকে ৮৪৫ টন পেঁয়াজ, ১৩ ট্রাকে ১০৬ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।