নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকার আছে। তবে আমাদের দেশে অনেক ঘাটতি আছে। বললেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত সমিতির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক কার্টুনিস্ট এম. এ. কুদ্দুস এর সম্মানে স্মরণ সভা ও ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি-রাজনীতিতে কার্টুনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন নাগরিকের কোনো কিছু জানার অধিকার এবং প্রয়োজন দুটোই আছে। তবে আমাদের দেশে অনেক ঘাটতি আছে। অন্যায় হচ্ছে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান বলেন, একটা ছবি অনেক শব্দ প্রকাশ করে থাকে ঠিক তেমনি একটা কার্টুনও মিলিয়ন ওয়ার্ড প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, আমাদের সবার উচিত কুদ্দুসের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আমি তার স্ত্রীর একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাব। যত তারাতাড়ি সম্ভব একটা ব্যবস্থা করা হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালায়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, কুদ্দুস ছিলেন বাংলাদেশ কার্টুন জগতের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। তার সম্পর্কে বলতে গেলে আমি আবেগ প্রবণ হয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন, একজন কুদ্দুস এক দিনে তৈরি হয়নি। তিনি ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি আর্ট করতেন। সে ছিলো অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট। প্রচার বিমুখের কারণে তার কার্টুন বেশি প্রচার হয়নি। প্রচার করা হলে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে যেতেন। সে ছিলো একজন দেশপ্রেমিক কার্টুনিস্ট।
সভাপতির বক্তব্যে নূরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, রাজবাড়ীর মানুষ কুদ্দুসকে কিভাবে চেনে আমি জানি না তবে তার কার্টুন সারা বাংলাদেশে ছেয়ে গেছে। কুদ্দুসরা শুধু রাজবাড়ীর সম্পদ নয়, সারা বিশ্বের সম্পদ। সংগঠনের পক্ষে আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কুদ্দুসের পরিবারকে আগে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা করেছি। এখন আরো ১লক্ষ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমরা যেন কুদ্দুসের সকল কার্টুন নিয়ে একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠান করতে পারি সে বিষয়ে আপনারা সকলে সাহায্য করবেন।
কুদ্দুসের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা বলেন, কুদ্দুস ছিলেন খুবই বিনয়ী। তিনি অল্পতেই তুষ্ট থাকতেন এবং খুশি হলে শিশুদের মতো একটি হাসি দিতেন। তার অকাল প্রয়াণ যাওয়া আমাদের জন্য বিশেষ করে আমার জন্য অত্যন্ত বেদনার।
অনুষ্ঠানে কুদ্দুসের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন দৈনিক সংবাদের সাব এডিটর ওবায়েদ আকাশ, নয়া দিগন্তের চিপ রিপোর্টার ও সমিতির অর্থ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের পান্থ আফজাল, সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অরন্য গফুর ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক চন্দন সান্যাল।