হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেছেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম। নতুন নির্বাচন কমিশনার হওয়ার আশায় তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। যদিও তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
ইসি সচিবালয়ের নিয়মিত চাকরি অবসায়নের পর দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া আবুল কাসেম এক মাসের বেতনের টাকা ফেরত দিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগপত্র জমা দেন। পত্রটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইসি সচিবালয়।
ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-১ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন আবুল কাসেম। তিনি কঠোর গোপনীয়তায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পদত্যাগী ওই কর্মকর্তা তার ঘনিষ্ঠজনদের জানিয়েছেন, কমিশনার নিয়োগ পাবেন–এমন আশ্বাস পেয়েই তিনি পদত্যাগ করেছেন। অবশ্য ২০২০ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় থেকেই তিনি ভবিষ্যতে ইসির কমিশনার হবেন–এমন গুঞ্জনও ইসি সচিবালয়ে ছিল।
ইসি থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, আবুল কাসেম ১৯৯০ সালের ২৪ মার্চ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনে যোগ দেন। ওই বছর নভেম্বরে সহকারী সচিব হিসেবে ইসি সচিবালয়ে যোগ দেন। ক্রমান্বয়ে পদোন্নতি পেয়ে তিনি ইসির যুগ্ম সচিব হন। ২০২০ সালে তার চাকরির বয়স শেষ হলে সরকার তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।
সূত্র আরো জানায়, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যতম শর্ত হচ্ছে, এক মাসের আগাম নোটিশ দিয়ে বা এক মাসের বেতন ফেরত দিয়ে চাকরি থেকে পদত্যাগ করা যাবে। তিনি ২০১৯ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচনেও রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তা মাহমুদ
