দেশের মানুষ এখন কথা শুনতে অভ্যস্ত নয়, কাজ দেখতে অভ্যস্ত। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে সেটা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণিত। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার (১ সেস্টেম্বর) শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থল ঘুরতে এসে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় এই মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করে। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যেই তা প্রমাণ করেছে।
কাদের বলেন, এখন দেশের মানুষ পদ্মাসেতুর সুফল যেমন পাচ্ছে, উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত মেট্ররেলেরও যথেষ্ট সুফল পেতে শুরু করেছে। মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত প্রথম ট্রায়াল আমি উদ্বোধন করেছি। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশ উদ্বোধন করার পর এর সুফল নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। অল্প একটু পথ উত্তরা থেকে আগারগাঁ পর্যন্ত দুঘন্টার রাস্তা কিন্তু এখন মেট্রোরেলে ১০ মিনিট লাগে। এর সুফল মানুষ এখন পেতে শুরু করেছে। আর মতিঝিল পর্যন্ত যখন মেট্রো যাবে, এই সুফলটা আরও বেশি পাওয়া যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কর্মসূচির ওপর নেতাকর্মীদের আস্থা নেই, জনগণেরও নেই। কালো পতাকা নিয়ে যে মিছিল হয়, সেটা শোক মিছিল। এ মিছিল দিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি সম্ভব নয়। সরকার পতন তো দূরে থাক, বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস কিংবা সহিংসতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আমরা মনে করছি না যে এমন কোনো আঘাত আসবে, যেটা সামলানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। আমার প্রস্তুত, আমাদের প্রস্তুতি একদিন-দুদিনের না। আমরা বলেছি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত, আমাদের সতর্ক পাহারা থাকবে।
তিনি বলেন, জানমাল নিরাপদে রাখা থেকে মানুষ বঞ্চিত হতে পারে, এ রকম কিছুর আশঙ্কা করে আমরাও শান্তি সমাবেশ করছি। এই শান্তিপূর্ণ অবস্থা এবং অবস্থান আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এবং নির্বাচনের পরেও বজায় থাকবে।
