দাম্পত্য সম্পর্কে যখন বোঝাপড়ার চেয়ে ঝগড়াঝাটি বেশি হয়। তখন তারা বিয়ের বন্ধনটিকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সব উপদেশ মেনে সমস্যা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কিন্তু গৎবাঁধা সেইসব পরামর্শ সবসময় সহায়ক হয় না, বিশেষ করে সমস্যাটি যদি হয় বড় এবং জটিল । সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা এড়াতে তাই নতুন দম্পতিরা প্রথম থেকেই মানতে পারেন কিছু পরামর্শ । দাম্পত্য সম্পর্কটিকে সুন্দর করতে তেমনই কিছু সহায়ক পরামর্শ রইলো এখানে-
- সবসময় বিশ্বাস করতে হবে সঙ্গের মানুষটি কষ্ট পাওয়ার মতো কিছু করবেন না। কাজ কিংবা কথা নয় দেখতে হবে এর পিছনের উদ্দেশ্য। ফলে নিজের মধ্যকার হতাশাবোধ এবং অপরাধবোধ তো কমবেই সেই সঙ্গে কমবে সঙ্গীকে দোষারোপ করাও। সঙ্গীর সব কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে নয় জানা থাকলে ঝগড়াঝাটির সময় বলা কথাগুলো নিয়েও পরবর্তীতে হবে না আর কোনো ঝামেলা। এক অন্যের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব থাকলে সেক্ষেত্রে ক্ষমা করাও সহজ হয়।
- দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়াঝটির অন্যতম কারণ হলো অর্থ। তাই একে অপরের ব্যয়ের অভ্যাস নিয়ে ঝগড়া করার পরিবর্তে দুজন মিলে খুঁজে বের করতে হবে এ সমস্যার সমাধান। একে অন্যের প্রতি ছাড় দেয়ার প্রবণতা তৈরি করলে দিনশেষে একটি সম্পর্ক সুন্দর তৈরি হবে।
- যে কোনা সম্পর্ককে মজবুত করতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আর দাম্পত্য সম্পর্কে একে অপরের প্রতি আরও বেশি কৃতজ্ঞতা দেখাতে হবে, এমনকি ঝগড়াঝাটি বা তর্ক করার সময়েও। একসঙ্গে খারাপ এবং ভালো মুহূর্তগুলোকে উপলব্ধি করতে শিখতে হবে। দাম্পত্য সম্পর্কে সফল হতে উভয় পক্ষের সমর্থন ও পরিশ্রমী হওয়াটা জরুরি।
- কখনও কখনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনকে ছাড় দিতে হয়। সম্পর্কে একজনই সব সময় প্রভাব খাটালে তিক্ততার পাল্লাটা ভারী হয়ে যায়। সম্পর্কে ভালোবাসা থাকলে একে অপরকে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয় না।
- স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটালে দূর হবে নিজের মধ্যকার দূরত্ব। ক্লান্তিকর একটি দিনের শেষে যখন কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করা হবে, দিনটি কেমন ছিল? তখন সে নিজেই তার অনুভূতি প্রকাশ করবে।নিজেদের মধ্যে তৈরি হবে এক মিষ্টি মধুর সম্পর্ক।
অনন্যা চৈতী