আর্কাইভ থেকে জাতীয়

১৭ বছর পর ঢাকা-জাপান সরাসরি ফ্লাইট চালু

১৭ বছর পর ঢাকা-জাপান সরাসরি ফ্লাইট চালু
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আকাশ পথে আবারো জাপানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-নারিতা-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানটির ফ্লাইট চলাচল উদ্বোধন করেন। ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায় বিমানের প্রথম ফ্লাইট। আর স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মাইদুর রহমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ এবং ৭৮৭-৯ বিমান দিয়ে বিমান বাংলাদেশ সাপ্তাহিক তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার ঢাকা থেকে এবং প্রতি শনি, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার নারিতা থেকে ফ্লাইট ছাড়বে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-টোকিও আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ থাকলেও টানা লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০০৬ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যকার যাতায়াতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়াসহ নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নিয়মিত যাত্রীদের। বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম এ ব্যাপারে বলেন, ‘ঢাকা-নারিতা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল রুট হতে পারে। কেননা এতে আমরা স্থানীয় যাত্রী ছাড়াও আমাদের প্রতিবেশী দেশের যাত্রীদের আশা করছি।’ তিনি বলেন, নেপাল ও কলকাতার যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে বিমান ইতিমধ্যেই নারিতা রুটে বেশি ওজনের ব্যাগেজ সহ লোভনীয় প্যাকেজ অফার করেছে। বিমানের প্রধান বলেন, জাপানে বাংলাদেশি ছাড়াও প্রায় ৪১,০০০ ভারতীয় এবং ১.৪০ লাখ নেপালি নাগরিক বাস করে। ভারত ও নেপালের যাত্রীরা মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা হয়ে জাপানে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। এছাড়া বর্তমানে অনেক জাপানি কোম্পানি এখানে তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে এবং অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৯৫৪ জন। বিমান প্রধান বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী বিমান কোড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে জাপান হয়ে অন্যান্য ক্যারিয়ারের সাহায্যে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল ও কানাডায় যাত্রী বহনের পরিকল্পনা করছে। শফিউল আজিম বলেন, ‘আমরা অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সাথে ইন্টারলিঙ্কিং বা কোড শেয়ারিংয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখছি যাতে আমরা ৩৬০ ডিগ্রি এয়ারলাইনের মতো আমাদের যাত্রীদের জাপানের বাইরে বিভিন্ন রুট অফার করতে পারি।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ১৭ | বছর | ঢাকাজাপান | সরাসরি | ফ্লাইট | চালু