আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সোনার ক্ষুরে গোঁফদাড়ি কামাতে খরচ মাত্র ১০০ টাকা

সোনার ক্ষুরে গোঁফদাড়ি কামাতে খরচ মাত্র ১০০ টাকা

ব্যবসা চালাতে খদ্দেরদের কথা মাথায় না রাখলে চলে! কথায় বলে খদ্দেরই লক্ষ্মী। সেই লক্ষ্মীকে টানতে দোকানিরা কত কী করেন! তবে খদ্দের টানতে পুণেতে একটি সেলুনের মালিক অভিনব এক পন্থা বেছে নিয়েছেন।

পুণে সংলগ্ন পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় শহরের ওই সেলুনে প্রত্যেক খদ্দেরই ‘স্পেশাল!  অন্তত ওই সেলুনের মালিক অবিনাশ বরুন্ডিয়ার তেমনই দাবি। তাঁর সেলুনে আসা লোকজনের গোঁফদাড়ি কামানোর জন্য আস্ত একটি সোনার ক্ষুর কিনে ফেলেছেন অবিনাশ ।
ব্যবসা সফল হতে হলে  বিজ্ঞাপন এর যেন কমতি নেই, তা সবার সামনে তুলে এনেছেন পুণের ওই নাপিত। আট তোলা ওজনের সোনার ক্ষুর ব্যবহার করছেন গোঁফদাড়ি কামানোর কাজে।

অবিনাশের এই সৃজনশীল চেতনা বেশ সাড়া ফেলে নেটপাড়ায়। এক বিজ্ঞাপন এর আলোয় উঠে এসেছেন এই নাপিত। 
প্রায় ৮০ গ্রাম ওজনের ওই সোনার ক্ষুরটি কিনতে কত টাকা খরচ হয়েছে? অবিনাশ জানিয়েছেন, প্রায় চার লাখ টাকা দিয়ে ওই ক্ষুর কিনেছেন।
হঠাৎ করে সোনার ক্ষুরই বা কিনতে গেলেন কেন? অবিনাশের দাবি, তাঁর সেলুনে আসা প্রতিটি খদ্দেরই ‘স্পেশাল’।  

তাঁর সেলুনে যে সোনার ক্ষুরে গোঁফদা়ড়ি কাটা যায়, সে কথা ঘটা করে প্রচারও করছেন অবিনাশ। এমনকি, সম্প্রতি সেলুনের উদ্বোধনে স্থানীয় এক বিজেপি বিধায়ক গোপীনাথ পডবলকরকেও আমন্ত্রণ জানান তিনি। এমন প্রচারে হাতেনাতে ফলও পাচ্ছেন অবিনাশ। ধীরে ধীরে হলেও পসার বাড়ছে।
অবিনাশের দাবি, সোনার ক্ষুরে গোঁফদাড়ি কামানোয় প্রত্যেক খদ্দেরই নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। তাই এমন উপায় বার করেছেন তিনি। এতে তাঁর সেলুনে লোকজনও ভিড় করবেন বলে মনে করেন অবিনাশ।

সেলুনে লোকজনের ভিড়ের কারণে গ্ণমাধ্যমের নজরেও পড়েছেন অবিনাশ। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামানোয় সাধারণ মানুষজন নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। যাঁদের বেশি টাকাপয়সা নেই, তাঁরাও সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফদা়ড়ি কামাতে পারবেন। অবিনাশের চার লাখি ক্ষুরে গোঁফদাড়ি কামাতে খরচ মাত্র ১০০ টাকা ।

 

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সোনার | ক্ষুরে | গোঁফদাড়ি | কামাতে | খরচ | মাত্র | ১০০ | টাকা