জীবনযাপনে ব্যাপক অনিয়ম, খাদ্যাভ্যাসে তেল-মশলার বাড়বাড়ন্ত, কর্মব্যস্ততার কারণে শরীরচর্চায় অনীহা, অতিরিক্ত মদ্যপান- এই সব অভ্যাসের কারণে ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিসের মতো অসুখ বাসা বাঁধে শরীরে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের কিছু বদ অভ্যাস এবং ভুলের কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে লিভারের অসুখ। যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফ্যাটি লিভারের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। জীবনশৈলীতে বদল এনেই এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। রোগের উপসর্গগুলি জানা থাকলে আগেভাগেই সতর্ক হওয়া যায়। কোন কোন লক্ষণ এই রোগের ইঙ্গিত দেয়?
১. ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ ভাল করে বেরোতে পারে না। তাই প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে নজর রাখুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পরেও একটানা প্রস্রাবের রং হলুদ হতে থাকলে এবং দুর্গন্ধ থাকলে ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে সচেতন হোন।
২. পায়ের পাতায় পানি জমতে থাকলে সতর্ক হোন। পায়ের পাতা, গোড়ালি ফুলে উঠলে লিভারের অসুখ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
৩. কেবল পায়েই নয়, হাতেও ধরা পড়ে ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ। হাতের পাতা ফুলে গেলেও সতর্ক হতে হবে বইকি। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে শরীরের আনাচ-কানাচে জল জমতে শুরু করে, ফলে হাতের পাতায় ফোলা ভাব লক্ষ করা যায়।
৪. ফ্যাটি লিভারের কারণে পুরুষদের শরীরে গাইনোকোমাস্টিয়া হানা দিতে পারে। এই রোগে স্তনের টিস্যুর বৃদ্ধি ঘটে। লিভারের কর্মক্ষমতা কমে গেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ফলে স্তনের আকার বাড়তে থাকে, যৌন ইচ্ছে কমে যায়।
৫. অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? শারীরিক দুর্বলতা বলে এড়িয়ে গেলে কিন্তু সমস্যা ধীরে ধীরে মারাত্মক আকার নিতে পারে।