পেনশন স্কিম থেকে ঋণ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। উন্নয়নকাজে পেনশন স্কিম থেকে ঋণ নেবে সরকার। ফলে বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমবে। বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট’ শিরোনামে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পেনশন স্কিম থেকে ঋণ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। উন্নয়ন কাজে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উৎস থেকে সরকারকে ঋণ নিতে হয়। পেনশন স্কিম চালুর ফলে ঋণ নেওয়ার আরও একটি উৎস যোগ হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বড় প্রকল্পের কারণে বর্তমানে দেশে অনেক অর্থের প্রবাহ রয়েছে। অর্থের প্রবাহের কারণে দুর্নীতিও বাড়ছে। তবে, এদিকে আমাদের আরও নজর দিতে হবে। দেশের উচ্চবিত্ত পর্যায়ে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে। কেউ কেউ ব্যাংকের বড় অংকের টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করছেন। একটি অংশ ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট www.upension.gov.bd চালু করা হয়েছে। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য এতে চারটি স্কিম থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে- প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রগতি স্কিম, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম এবং স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য সমতা স্কিম। চারটি স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংকে টাকা প্রদান শুরু হয়েছে। সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
এএম/