বয়স মাত্র ৩০-এর গণ্ডি পেরনোর পরই ছোট-বড় চোখের সমস্যা পিছু নিচ্ছে। এমনকী এই বয়স থেকেই হু হু করে কমতে শুরু করছে দৃষ্টিশক্তি। শুধু তাই নয়, আজকাল কম বয়সেই ছানির মতো বয়সজনিত চোখের অসুখেও ভুগছেন অনেকে। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সকলকেই চোখের দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের কথায়, আজকাল মোবাইল ও কম্পিউটারের ব্যবহার প্রচণ্ড বেড়েছে। আর এইসব গ্যাজেটের স্ক্রিন থেকে বেরিয়ে আসা নীল আলোই চোখের গুরুতর ক্ষতি করে দিচ্ছে।
তাই তো চোখের হাল ফেরাতে আপনাকে সাবধান হতেই হবে। পাতে রাখতে হবে, এমন কিছু খাবার যা চোখের জ্যোতি বাড়াতে পারে। অতএব আর দেরি না করে এই প্রতিবেদন থেকে এমনই ৫ খাবার সম্পর্কে জেনে নিন এবং তাদের ডায়েটে জায়গা করে দিন।
১. মাছ খেতে ভুলবেন না
মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান কিন্তু চোখের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। তাই তো চিকিৎসকেরা সকলকেই নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এক্ষেত্রে টুনা, স্যালমন, ম্যাকেরেলের মতো সামুদ্রিক মাছ খেলে উপকার মিলবে বেশি। তবে আমাদের দেশি রুই, কাতলা বা ছোট মাছও কিন্তু কম একটুও কম যায় না। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে নিজের পছন্দ মতো যে কোনও মাছ পাতে রাখুন।
২. এক মুঠো বাদাম খেতেই হবে
বয়স ৩০-এর গণ্ডি পেরনোর পরেও দৃষ্টিশক্তিকে মজবুত রাখতে চাইলে আপনাকে রোজ একমুঠো করে বাদাম খেতেই হবে। আসলে বাদামেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা বয়সজনিত চোখের সমস্যার ফাঁদ এড়াতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে মেডিক্যাল নিউজ টুডে। তাই তো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ৮ থেকে ৮০, সকলকেই আমন্ড, ওয়ালনাটের মতো বাদামের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিতে হবে। আশা করছি, এতেই আপনার স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।
৩. দৃষ্টিশক্তি বাড়াবে কয়েকটি বীজ
আমাদের হাতের কাছে মজুত থাকা একাধিক বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান কিন্তু দৃষ্টিশক্তিকে মজবুত করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই চোখের হাল ফেরানোর ইচ্ছে থাকলে নিয়মিত চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড এবং হেম্প সিডের মতো বীজ জলে ভিজিয়ে খেতে ভুলবেন না যেন! আশা করছি, এতেই ফল মিলবে হাতেনাতে। আপনি সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবেন।
৪. সাইট্রাস ফ্রুটের জুড়ি মেলা ভার
সাইট্রাস ফলে রয়েছে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন কিন্তু বয়সজনিত চোখের সমস্যাকে হেলায় প্রতিরোধ করতে পারে। তাই আপনার রোজকার ডায়েটে লেবু জাতীয় ফল রাখতেই হবে। এতেই ফিরবে চোখের হাল। এমনকী বয়স ৩০-এর গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ার পরও চশমা ছাড়াই দূরের জিনিস দেখতে পারবেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই ফল খাওয়া শুরু করুন।
৫. পাতে থাকুক একাধিক শাক
আমাদের অতি পরিচিত সব শাকে রয়েছে লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিনের ভাণ্ডার। আর এই দুই উপাদান কিন্তু চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই চোখের হাল ফেরানোর ইচ্ছে থাকলে রোজের ডায়েটে পালং, কেলের মতো শাকের পদ রাখতে ভুলবেন না যেন। আশা করছি, এতেই মিলবে উপকার। আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।