নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ২০০জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন চারশতাধিক মানুষ।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনভর আজারবাইজানের সামরিক অভিযানে নাগোর্নো-কারাবাখের শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। জানিয়েছে নাগোর্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী এক কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গেঘাম স্টেপানিয়ান নামের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কারাবাখ অঞ্চলে কমপক্ষে ২০০জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন চারশরও বেশি মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে ১০ জন বেসামরিক নাগরিক ছিল। তাদের মধ্যে পাঁচজনই শিশু।’
এখন পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি আজারবাইজান। তবে এদিন সন্ধ্যায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেছেন, ‘তাদের বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছেন।’
নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃত। এ নিয়ে বহু বছর ধরে আর্মেনীয় জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলটি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চলছে।
নাগোর্নো-কারাবাখের দখল নিয়ে এখন পর্যন্ত দুটি যুদ্ধ করেছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। প্রথম যুদ্ধ হয় ১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর। সবশেষ যুদ্ধ হয়েছে এখন থেকে তিন বছর আগে ২০২০ সালে। সংক্ষিপ্ত অথচ রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধ শেষ হলেও দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি।
বর্তমানে অঞ্চলটি রুশ শান্তিরক্ষীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আজারবাইজানের অভিযোগ, অঞ্চলটিতে আর্মেনীয় সেনাদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। অঞ্চলটিতে আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে আজারি সেনারা।
মঙ্গলবার নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকায় পরপর দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চার সামরিক ও দুই বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ছয়জন নিহত হয়। আজারবাইজান বলছে, এই বিস্ফোরণের পেছনে আর্মেনিয়ার একটি নাশকতা গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। মূলত বিস্ফোরণে হতাহতের পরপরই সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়।
টিআর/