বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে হয়তো ভক্ত-দর্শকদের আগ্রহ অনেকটাই কম এই সিরিজ নিয়ে। তবুও এটা একটা আন্তর্জাতিক সিরিজ এবং বাংলাদেশ মোকাবেলা করছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। তিন ম্যাচের এই সিরিজে এরই মধ্যে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে কিউইরা।
ঘরের মাঠে ২০১০ সালের পর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ সব সময়ই থাকে এগিয়ে। কিন্তু বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে হওয়ার কারণে এই সিরিজে বাংলাদেশ দলে নেই অনেক তারকা ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড দলেও তাই। তবুও, দলটিতে যে সব ক্রিকেটার রয়েছেন, তাদের শক্তি-সামর্থ্যও কম নয়।
যার ফলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের করা ২৫৪ রানের জবাবে টাইগাররা অলআউট হয়েছে ১৬৮ রানে। প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিলো বৃষ্টিতে। যে কারণে, শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের সামনে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই।
প্রথম দুই ম্যাচের তুলনায় সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে বেশ পরিবর্তন এসেছে। অধিনায়ক লিটন দাস বিশ্রামে। তামিম ইকবালও থাকছেন না। এশিয়া কাপে ইনজুরিতে পড়ার পর এই ম্যাচে অধিনায়ক হয়েই দলে ফিরছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
মেহেদী হাসান মিরাজের থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনিও সম্ভবত এই ম্যাচে থাকছেন না। কিছুটা অসুস্থবোধ করায় তাকে বিশ্রামেই রাখা হচ্ছে। লিটন-তামিম না থাকার ফলে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস ওপেন করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে তানজিদ হাসান তামিম এবং জাকির হাসানের।
বোলিংয়েও ‘চোট’ আছে বাংলাদেশ দলে। প্রথম দুই ওয়ানডেতে বিশ্রাম পাওয়া তাসকিন আহমেদের খেলার কথা ছিল শেষ ম্যাচে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তাকেও রাখা হচ্ছে না। পরিবর্তে ফের দলে নেয়া হয়েছে খালেদ আহমেদকে। মিরাজ খেলতে পারবে না বলে দলে ফেরানো হয়েছে আফিফ হোসেনকে। তবে তাকে কি খেলানো হবে?
সব মিলিয়ে নিচক একটি ম্যাচ হিসেবে চিন্তা না করে যদি এই ম্যাচকে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে নিশ্চিত ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য কঠিনই হতে যাচ্ছে। একেবারে তরুণ একটি দলের কাঁধে আজ উঠতে যাচ্ছে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই।