সব বিভাগকে সক্রিয় রাখা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি সংবিধান সমুন্নত রাখার প্রতিজ্ঞা করেছি।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে ঢাকাস্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান একথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল স্তম্ভ ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, ন্যায়বিচার ও সামাজিক সমতার বাংলাদেশ-উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ থেকে শুরু করে পরবর্তী সব ধাপ এবং সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে সেই চেতনা রক্ষার প্রতিজ্ঞা করেছি। অতীতে নানা দায়িত্ব পালনকালে ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় এবং সংবিধান সমুন্নত রাখায় কাজ করেছি। প্রধান বিচারপতি হিসেবেও নিষ্ঠার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনানে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতি দায়মুক্ত হয়েছে। আমি সেই বিচারে অংশ নিয়েছিলাম। তাদের সবধরনের আইনি সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে স্বচ্ছতার সাথে সেই বিচার সম্পন্ন করেছি। তাদের প্রত্যেকেই সেই সাজা ভোগ করেছে বা করছে। ১৯৭১ সালে ১২ বছর বয়সে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখেছি। তাদের বিচার করতে গিয়ে ইতিহাস আরও নিবিড়ভাবে জেনেছি।
ওবায়দুল হাসান তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। একইসঙ্গে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃতি ব্যক্তিদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল ইতিহাসে বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসীর অবদান তুলে ধরেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফুল হাসান খসরু, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য রাখেন।
এএম/