ইয়ারফোন, লকেট, আংটি, সেফটিপিন, নাট বোল্টু, স্ক্রুসহ নানান ধাতব জিনিস। নিত্য প্রয়োজনীয় এসব জিনিস সাধারণত কিনতে হরেক মালের দোকানে যেতে হয়। আবার হরেক মালের অনেক দোকানেও একসাথে এসব জিনিস কেনা সম্ভব হয় না। তবে দোকানে না পাওয়া গেলেও এক ব্যক্তির পেটে একসাথেই এগুলো একস পাওয়া গেছে।
ভারতের পঞ্জাব রাজ্যের মেগা জেলায় এমনই অদ্ভুত এবং চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির পাকস্থলী থেকে চিকিৎসকরা এগুলি উদ্ধার করেন। আপাতত ওই ব্যক্তি সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমন ঘটনায় হতবাক সকলেই।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের মেগা জেলার ওই ব্যক্তি গত ২ বছর ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি। পরিবারের সদস্যরা তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে প্রতিবেশির এক পরামর্শে ভুক্তভোগী ওই রোগীকে মেগা জেলার মেডিসিটি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
রোগীর কথায় চিকিৎসকরা তার পেটের ব্যথার কারণ জানতে পারেননি। এমতাবস্থায় রোগীর পেটের এক্সরে ও স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সেইমতো রোগীর এক্সরে ও স্ক্যান করা হয়। কিন্তু, তারপরে পেটে যা দেখা যায় তা রীতিমতো বিস্ময় আর অবিশ্বাস্য। এ ঘটনায় হতভাগ হয়ে যান চিকিৎসক থেকে শুরু করে পরিবারের সকলেই। আর বেরিয়ে আসে পেটে ব্যাথার কারণ।
এক্সরে ও স্ক্যান করার পর ওই ব্যক্তির পাকস্থলীতে প্রচুর ধাতব জিনিস দেখতে পেয়ে চিকিৎসকরা দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। এর পরই ওই ব্যক্তির পেট থেকে ওই ধাতব জিনিসপত্র বের করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই ধাতব জিনিস পেটে থাকায় রোগীর অবস্থা ভালো নয়। রোগীর মানসিক সমস্যা থাকায় তিনি গত কয়েক বছর ধরে একটি করে ইয়ারফোন, আংটি গিলে ফেলেছিলেন।একারণে তার পেটে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
তবে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও অনেক রোগীর পেট থেকে যেমন কয়েন উদ্ধার হয়েছে তেমনি উদ্ধার হয়েছে পেরেক। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের ধাতু পাওয়া গিয়েছে রোগীর পেট থেকে। মনোবিদরা জানাচ্ছেন, এগুলি এক ধরনের মানসিক রোগ। যাতে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা এই ধরনের কিছু খেয়ে ফেলেন। পঞ্জাবের ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছিল বলে অনুমান করছেন চিকিৎসকেরা।