বেগম খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেও প্রধানমন্ত্রী তার সাজা স্থগিত করে বাইরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এটা একটি বড় মহানুভবতা। প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন সেটি বোধহয় তারা টের পাচ্ছে (বিএনপি) না। তারা তখনি টের পাবে যখন বেগম জিয়াকে যে সাজা স্থগিত করে বাইরে থাকার সুযোগ দেয়া হয়েছে সেটি বাতিল করা হলে। বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে গেলেই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি ১৫ আগস্টে ভুয়া জন্মদিন পালন করেন কিংবা ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা নিয়ে হাস্যরস করেছেন। তিনি যে এমন সহানুভূতি দেখাতেন না এটা স্পষ্ট। যদিও সেই গ্রেনেড হামলার জন্য তারাই ইন্ধন যুগিয়েছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকার কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাকে সহানুভূতি দেখিয়ে তার সাজা স্থগিত করে বাইরে থেকেই চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন। বেগম জিয়ার তো বাইরে থাকার কথা নয়। বাইরে চিকিৎসারত অবস্থায় সেখানে তার পরিবারের অনেকেই দেখা করেন। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন এমনকি দলীয় নেতারাও সাক্ষাৎ করেন। বেগম জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এ মহানুভবতা দেখাতেন না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে থাকতে দেয়া হয়েছে, সে কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের উচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো। মির্জা ফখরুল ইসলামেরও উচিত প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো।
সাধারণ মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা তাদের নেতাকর্মীদের মাঠে নামিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন— বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যেখানে সমাবেশ করে সেখানেই নিজেরা মারামারি করে। চট্টগ্রামে তারা দুই গ্রুপ মারামারি করে নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এ সমস্ত ঘটনা ঘটছে।
বিএনপির সমাবেশের মাধ্যমে সরকারকে টেনে নামানোর যে কথা বলা হচ্ছে, পদত্যাগের কথা বলা হচ্ছে, সেসব সমাবেশেও সরকার সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে। তাদের সমাবেশে যেন বাইরে থেকে কোনো বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়। কিন্তু তবুও বিএনপি নেতারা মাঝে মাঝে পুলিশের ওপর চটে বসেন।
বিএনপি নেতারা আহ্বান জানাচ্ছে তাদের সকল নেতাকর্মীদের মাঠে নামার জন্য। কিন্তু সকল নেতাকর্মী কি মাঠে নেমেছে? বিভিন্ন জায়গায় তারা যে লংমার্চ করেছে সেখানে কি জনসমাগম হয়েছে? কর্মী সমাগম হয়েছে? সেই উপলব্ধি বিএনপি নেতাকর্মীদের হওয়া উচিত।
দেশের বাইরে থেকে রেমিট্যান্স নিয়ে একটি ষড়যন্ত্রের কথা শোনা যাচ্ছে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে বিএনপির বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্ট এবং তাদের পেইড এজেন্টরা নানান গুজব ছড়াচ্ছে। কয়েকদিন আগে গুজব ছড়িয়েছিল ব্যাংকে টাকা নেই। তখন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেলার হিড়িক শুরু হয়েছিল। তারা এ ধরনের নানান গুজব ছড়াচ্ছে। এসব গুজব সরকারের বিরুদ্ধে নয় বরং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। সেই গুজব নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। কিন্তু এসব গুজব ছড়িয়ে খুব একটা লাভ হচ্ছে না।