বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। তবে ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার সোয়া ২ কোটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করে, তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। বললেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সকালে মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পাওয়া এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য সেখানে যান ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধনের পর থেকে এমআরটি পুলিশ মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এখন পর্যন্ত ৫৩৭ জনকে এমআরটি পুলিশ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একজন ডিআইজির নেতৃত্বে নতুন এই ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। সর্বশেষ তাদের দাবি এক দফায় পরিণত হয়। দাবি আদায়ে রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। সেদিন মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে মহাযাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা ফিরে যাবেন না বলে বলেছিলেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসমাবেশের দিন আওয়ামী লীগও কর্মসূচি দেয়ায় তাদের কর্মসূচি ঘিরে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।