বাংলাদেশের উপকূলের আরও কাছে এসেছে বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপটি। গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এ পরিণত হতে পারে। এদিকে আজও দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে এটি উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটারের মতো দূরে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তা আগামী ২৬ অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা উপকূল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের মধ্যদিয়ে স্থলভাগে উঠতে পারে।
আজ সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৫) জানানো হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।