শিশুদের অবাধ স্বাধীনতার সঙ্গে বাড়তি পাওনা হল আইসক্রিম, ফুচকা থেকে শুরু করে বিরিয়ানি, রোল, চাউমিনের মতো মুখোরোচক খাওয়া-দাওয়া।
তবে মুশকিল হল, এইসব ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে অনেক বাচ্চারই পিছু নিতে পারে বমি বমিভাবের মতো সমস্যা। এমনকী হতে পারে বমিও। তাই বিপদ ঘটার আগেই সাবধান হতে হবে। আর এই প্রতিবেদন থেকে এই সমস্যা সমাধানের কিছু ঘরোয়া টোটকা সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে।
১. আদা খাওয়াতে ভুলবেন না
এই ভেষজতে রয়েছে জিঞ্জেরল নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান কিন্তু বমি বমিভাব বা বমি কমানোর কাজে একাই একশো। তাই এবার থেকে সন্তান এইসব সমস্যার ফাঁদে পড়লে তাকে কয়েকটি আদা কুঁচি চুষে চুষে খেতে বলুন। এতেই কিন্তু উপকার মিলবে হাতেনাতে। তবে সন্তান আদা কুঁচি চুষে খেতে না চাইলে তাকে পানি দিয়ে এই ভেষজ গিলে নিতে বলুন। এতেই হবে কেল্লাফতে।
২. লেবুর শরণাপন্ন হন
আমাদের অতি পরিচিত লেবু কিন্তু ছোট্ট সোনার বমি বমিভাব কাটাতে পারে। সেক্ষেত্রে এক টুকরো লেবু কেটে সন্তানকে শুঁকতে বলুন। এই কাজটা মিনিট পাঁচেক করলেই কিন্তু উপকার মিলবে। দেখবেন, সন্তান আর বমি বমিভাব সম্পর্কে অভিযোগ করছে না। তাই পুজোর দিনে বিপদে পড়লে এই ঘরোয়া টোটার সাহায্য নিতেই পারেন। আশা করছি, ঠকবেন না।
৩. ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে বলুন
বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সন্তানকে ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার পরামর্শ দিন। এতেই কিন্তু উপকার মিলবে। ঝট করে কমে যাবে তার বমি বমিভাব।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বিভিন্ন ধরনের ব্রিদিং এক্সারসাইজ সরাসরি ব্রেনের উপর কাজ করে। ফলে চটজলদি কমে যায় বমির প্রকোপ। তাই প্রয়োজনে অবশ্যই এই টোটকা ব্যবহার করুন।
৪. জোয়ানই শ্রেষ্ঠ
অনেক সময় গ্যাস, অ্যাসিডিটির বাড়বাড়ন্তের কারণেও বমি পেতে পারে। সেক্ষেত্রে সন্তানকে এক ছোট চা চামচ জোয়ান এক গ্লাস পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নেয়ার পরামর্শ দিন। তাহলেই কিছুক্ষণের মধ্যে তার গ্যাস, অ্যাসিডিটির প্রকোপ কমবে। এমনকী দূর হবে বমি বমিভাবের মতো সমস্যা।
৫. জিরের জুড়ি মেলা ভার
এইসব সমস্যার ফাঁদ এড়াতে চাইলে সন্তানকে এক চামচ জিরে চটজলদি খাইয়ে দিন। এতেই কিন্তু উপকার মিলবে হাতেনাতে। কমবে তার বমি বমিভাব। এমনকী গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমানোর কাজেও এই ভেষজের জুড়ি মেলা ভার। সুতরাং ছোট্ট সোনার শরীরের হাল ফেরাতে চাইলে তাকে প্রয়োজন পড়লে জিরে খাওয়ান।