‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ এক নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। মুক্তির মাত্র ৯ দিনে এটি প্রায় ১৫০ কোটি রুপি আয় করেছে। দুই সপ্তাহের আগেই ঢুকে পড়বে ২০০ কোটির মেগাক্লাবে। মাত্র ১৪ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত একটি সিনেমার এমন অবিশ্বাস্য সাফল্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও চলছে ব্যাপক আলোচনা।
অন্যদিকে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ইস্যুতে দুটি ভিন্ন বিষয় এসেছে -
(ক) বিশেষ করে হিন্দুরা সিনেমাটি রীতিমতো লুফে নিচ্ছে। যার সংলাপ মুসলিম বিরোধ মনোভাব ্তৈরি করছে ।
(খ) অন্যদিকে মুসলিমরা দাবি করছে , সিনেমায় তাদেরকে ইচ্ছাকৃত শত্রু রূপে দেখানো হয়েছে।
১৯৯০ সালে কাশ্মীর থেকে লক্ষাধিক হিন্দু পণ্ডিত ঘরছাড়া হয়েছিল। সেটার পেছনে মুসলমানদের হাত ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে এত বছর সেভাবে আলোচনা হয়নি। লেখালেখি কিংবা সিনেমা নির্মিত হয়নি। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’জাতি ভেদ মুলক নাকি সত্য তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন ।
তবে এমন সিনেমার মাধ্যমে মূলত ভারতে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যকার শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে বলে মনে করেন খ্যাতিমান অভিনেতা নানা পাটেকর। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেতা মনে করেন, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমাটি সমাজকে ভেঙে ২টি অংশে ভাগ করছে । মতো ভেদ তৈরি করছে হিন্দু মসলিমের মধ্যে ।
নানা পাটেকর বলেন, ‘হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই এই ভারতের বাসিন্দা। দুই সম্প্রদায়েরই শান্তিতে থাকা উচিত। তাদের একে-অন্যকে প্রয়োজন। পরস্পরকে ছাড়া থাকতে পারবেনও না। কোনও এক সিনেমার জন্য এই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভাজনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া ঠিক নয়।
তিনি বলেন, দেখতে হবে সকলেই যেন শান্তিতে থাকেন। এমন সিনেমা বানিয়ে যারা এই শান্তি ভাঙার চেষ্টা করছেন, তাদের কাছে জবাব চাওয়া উচিত। তাদের বুঝিয়ে দেওয়া উচিত, এমন করলে সমাজটাই টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, এই সিনেমার প্রশংসা খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করেছেন । এমনকি ভারতের আসাম রাজ্যে ছুটিও ঘোষণা করা হয় সিনেমাটি দেখার জন্য। অক্ষয় কুমার, কঙ্গনা রানাউত, ইয়ামি গৌতমসহ অনেকে এর প্রশংসা করেছেন।
তবে কারো কারো দাবি, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এ ঘটনা কেবল হিন্দুদের পক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে। মুসলিমদের শত্রু রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে।
যাতে করে ধারণা করা হচ্ছে আবার কোন নতুন প্রশ্ন তৈরি করবে নাতো যা মুসলিম হিন্দু প্রতিহিংসা তৈরি করে ।
এসআই/
