আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কিশোরীকে ধর্ষণ: আসামি ও তার ৩ সহযোগী নারী গ্রেপ্তার

কিশোরীকে ধর্ষণ: আসামি ও তার ৩ সহযোগী নারী গ্রেপ্তার

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ১৪ বছরের কিশোরীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গর্ভপাত ঘটানোর সঙ্গে জড়িত থাকায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের আয়াসহ তিন নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।

তিনি জানান, দরিদ্র বাবা ও মায়ের অনুপস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম কিশোরীকে একা পেয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অভিযুক্ত তার মেয়ে ও ছেলের স্ত্রীকে দিয়ে হাজীগঞ্জের ইসলামিয়া হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের আয়া নাজমা বেগমকে বাসায় ডেকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, বৃদ্ধের এমন জঘন্য এবং অনৈতিক কাজে যারা সহযোগিতা করেছে তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধ এবং ঘটনার শিকার ১৪ বছরের কিশোরীর ডিএনএ পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় কিশোরীটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও আরো তিন নারীকে আসামি করা হয়েছে, যারা কিশোরীটির গর্ভপাত ঘটানোর সঙ্গে জড়িত।

এদিকে, ঘটনার দায় স্বীকার করায় দুপুরে অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  ওইসময় সেখানকার একটি বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ হাজীগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে ওই প্রাইভেট ক্লিনিকের আয়া নাজমাকে গ্রেপ্তার করে। এই নাজমা অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে বকুল ও ছেলের স্ত্রী সীমার সহায়তায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর গর্ভপাত করান।

এর আগে ভোরে হাজীগঞ্জের হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়াইন গ্রামের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

তাসনিয়া রহমান

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কিশোরীকে | ধর্ষণ | আসামি | ও | ৩ | সহযোগী | নারী | গ্রেপ্তার