এক সপ্তাহ ধরে গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল বাহিনী। এ অভিযানকে “অপ্রত্যাশিত সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। স্থল অভিযানে হামাসের ১০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে যারা গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর নকশা করেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল বাহিনী গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে অভিযান চালাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) তারা সীমান্ত থেকে গাজার ১৫ কিলোমিটার ভিতরে প্রবেশ করে অভিযান চালায়। ওই এলাকায় তুর্কি-ফিলিস্তিনের ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল রয়েছে। এই হাসপাতালে শুধু ক্যান্সার চিকিৎসা করা হয়। তবে এটিতে জ্বালানি তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল স্থল অভিযানকে বড় সাফল্য বললেও, হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ ইসরায়েল কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে স্থাল অভিযান চালাচ্ছে। তবে এ সব অঞ্চলেও হামাসের বাধার মুখে পড়ছে বাহিনীটি।
ইসরায়েল বলছে, জাবালি শরণার্থী ক্যাম্প যেটি গাজার উত্তরে অবস্থিত। এটি হামাসের টানেল হাব হিসেবে পরিচিত। এখান থেকেই হামাস হামলা পরিচালনা করে। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েল স্পষ্টত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এই অঞ্চলে তিন সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে স্মরণকালের ভয়াবহ রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে ১৪০০ মানুষ নিহত হয়। এ ঘটনার পরই গাজায় ভয়াবহ বোমা হামলা শুরু করে তেল আবিব। গাজায় এক মাস ধরে বিমান হামলার পাশাপাশি গত এক সপ্তাহ ধরে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪ হাজার শিশু। শুক্রবার গাজায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের অভিযোগ ছিলে ওই অ্যাম্বুলেন্সে হামাসের সদস্য ছিল। তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ দেথাতে পারেনি ইসরায়েল। ওই হামলায় ১৫ জন নিহত হয়।
গাজায় ইসরায়েল স্থল অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে হামাসের অতর্কিত হামলায় ২৫ জন সৈন্য হারিয়েছে। তবে হামাস বলছে এ সংখ্যা অনেক বেশি। হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েল এ পর্যন্ত ৩৩২ জন সৈন্য হারিয়েছে। আহত হয়েছে ২৬০ জন।