রাজধানীবাসীর বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পরিপূর্ণ সক্ষমতার পরিচয় দিলো স্বপ্নবাহন মেট্রোরেল। রোববার (৫ নভেম্বর) শুরু হয়েছে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে যাত্রা করে ৮টা ২ মিনিটে মতিঝিল স্টেশনে পৌঁছায়। এ যাত্রায় স্বপ্নবাহনটির সময় লেগেছে মাত্র ৩২ মিনিট।
এর আগে, শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন সিক্স) আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাত্রা দিয়ে। আগারগাঁও থেকে মেট্রোতে চেপে তিনি পৌঁছান মতিঝিলে। উচ্চগতিতে নয়, নিয়ন্ত্রিত গতিপথে ত্রিশ মিনিটের কাছাকাছি সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী মেট্রোর বিশেষ ট্রেনটি মতিঝিলে পৌঁছালে শুরু হয় উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা।
এ পর্বে প্রধানমন্ত্রী এমআরটি লাইন সিক্সের উদ্বোধনী ফলক এবং এমআরটি লাইন-৫-এর নির্মাণকাজের ফলক উন্মোচন করেন। একটি পথের শুভ সমাপ্তির পাশাপাশি শুরু হলো আর একটি নির্মাণের মহাযজ্ঞ। আশা করা হচ্ছে, ২০২৮ সালে হেমায়েতপুর থেকে গুলশান পর্যন্ত নির্মিত হবে মেট্রোর এই লাইন-৫ রুটটি।
উদ্বোধন হলেও তিনটি ধাপে সম্পন্ন হওয়া এমআরটি লাইন সিক্সের দ্বিতীয় ভাগও আগের মতো অর্থাৎ পুরোপুরি সক্ষমতায় ফিরতে লাগবে আরও কিছু সময়। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সাতটি স্টেশনের মধ্যে চালু হয়েছে তিনটি - ফার্মগেট, সচিবালয় এবং মতিঝিল স্টেশন। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ চালুর পর আপাতত মেট্রোরেল দিনে চার ঘণ্টা চলাচল করবে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। ধীরে ধীরে সব স্টেশন খোলার পাশাপাশি ট্রেনও চলবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরামহীন।
গেলো বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকায় দেশের প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। এরপর উত্তরা-আগারগাঁও মেট্রোরেলের কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে এ অংশের সব স্টেশন চালু হয়েছে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ জুন এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।