আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

শ্রীলংকায় সংস্কৃতির পুনরুত্থান

শ্রীলংকায় সংস্কৃতির পুনরুত্থান

পূর্ব পুরুষদের আমলের সেই কাঠ-কয়লা আর কুপি-হারিকেনের যুগ যেন আবার ফিরে এসেছে শ্রীলংকায়! টানাটানিতে চলছে দেশটি। নেই তেল, নেই খাবার। দেনার বোঝায় মুখ থেঁতলে পড়েছে শ্রীলংকার রাজকোষ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে। 

থেমে থেমেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। আধা ঘণ্টা থাকে তো ২ ঘণ্টা উধাও।  জ্বালানি চাহিদা পূরণে আমদানি করবে সেই পথও বন্ধ-রিজার্ভ নেই। এমন অবস্থায় একেবারে নিরুপায় হয়েই সত্তর-আশির দশকের হারিকেন, কুপিবাতি আর কাঠ-কয়লার ইস্ত্রির যুগে ফিরে গেছে স্থানীয়রা।

পূর্বসূরিদের এই সংস্কৃতির হঠাৎ পুনরুত্থান কিন্তু শখে বা স্বভাবে নয়-অভাবে!

এখানেও ভোগান্তির শেষ নেই।  অভাবের দেশে সবকিছুই যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে! হাল আমলে এসেও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সেকালের পণ্য। 

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ৫০ বছর পর হঠাৎই বেড়ে গেছে কেরোসিনের বাতি ও কাঠ-কয়লার আয়রনের দাম। একটি কাচের চিমনির দামে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫০০ শ্রীলংকান রুপি। আর কাঠ-কয়লার আয়রন মেশিন বিক্রি হচ্ছে ৯০০ রুপিতে। হারিকেনের চাহিদাও বেড়েছে। স্থানীয় বাজারে সরবরাহের অভাবে পণ্যটির সংকটও তৈরি হয়েছে। 

শ্রীলংকার নাগরিকরা বলছেন, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েনি দেশটির অর্থনীতি। শুধু বিদ্যুৎ বিভ্রাট নয়, গ্যাস-পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে দেশটিতে। শ্রীলংকার জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ড-এর এক প্রতিবেদনে এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

তাসনিয়া রহমান