বেতন বাড়ানোর দাবিতে বন্ধ থাকা গাজীপুরের প্রায় সব পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। বর্ধিত বেতন নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও চাপা ক্ষোভ নিয়ে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে দলে দলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, নাওজোরসহ পোশাক শিল্প অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
তবে আজ সকাল থেকেই গাজীপুরের কারখানা শ্রমিকরা কাজে ফিরতে শুরু করেন বলে শিল্প মালিক ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের মুখে বিভিন্ন পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকালে দুই একটি ছাড়া গাজীপুরের প্রায় সকল কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে।
শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছে। বেলা ১১ টা পর্যন্ত কোথাও কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বেতন বাড়ানোর দাবি করে গত কয়েকদিন ধরে গাজীপুর ও ঢাকার কয়েকটি এলাকায় অসন্তোষ দেখা দেয়া দেয়। সড়ক, মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয় এবং বিভিন্ন কারখানা ও যানবাহন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে।
পোশাক কারখানায় নাশকতার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় দুই শ্রমিক নিহত হয়েছে।
এরি মধ্যে রবিবার বিজিএমইএ ১৩০ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে গাজীপুরের বহু কারখানায় বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
তবে সোমবার সকালে ২৩টি ছাড়া প্রায় সব পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে বলে সরেজমিন দেখা গেছে। আর শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন।
বন্ধ থাকা ২৩টি পোশাক কারখানার মধ্যে রয়েছে কোনাবাড়ী শিল্পাঞ্চলের তুসুকা ও জরুন এলাকার স্ট্যান্ডার গ্রুপের কারখানা।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা।
এদিকে গেলো মঙ্গলবার দেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বর্তমান ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ করা হয়েছে। বর্ধিত এই মজুরির গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে রোববার।