বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে ‘চোকার্স’ তকমা থেকে এবার অন্তত বেরিয়ে আসতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচটি সে কারণেই বাড়তি এক উদ্দীপনা যোগাচ্ছে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা প্রোটিয়াদের।
এর আগে বিশ্বকাপে চারবার ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ ও ২০১৫ সাল সেমিফাইনালে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু কোনবারই ফাইনালের টিকেট পায়নি, এর মধ্যে দুইবার হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে এজবাস্টনে নাটকীয়ভাবে অস্ট্রেলিার কাছে পরাজিত ম্যাচটি এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে। ম্যাচটি টাই হলেও গ্রুপ পর্বে এগিয়ে থাকার কারণে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
আট বছর আগে সেন্ট লুসিয়ায় মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে যাবার পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে ৯টি ম্যাচে সাতটিতেই জয়ী হয়ে দুর্দান্ত দাপটের সাথে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকা আজকের ম্যাচের আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেতেই পারে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২৮ রান করে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়া ছাড়াও এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই রানের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল টেম্বা বাভুমার দল।
সর্বশেষ চার মোকাবেলায় প্রতিটিতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ী হয়েছে প্রোটিয়ারা। এর মধ্যে চার সপ্তাহ আগে লক্ষ্ণৌতে গ্রুপ পর্বে ১৩৪ রানে জয়ী হবার ম্যাচটিও রয়েছে।
সাত ম্যাচে ১৮ উইকেট দখল করা দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার জেরাল্ড কোয়েতজি বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে এবারের বিশ্বকাপে খেলেছি তাতে এখানে আসাটা অকল্পনীয় কোন বিষয় ছিলনা।’
অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়ের পর টানা সাত ম্যাচে জয়ী হয়ে সেমিফাইনালে খেলতে এসেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। এই জয়গুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটির কথা আলাদা করে বলতেই হয়। মাত্র ৯১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অপরাজিত ২০১ রানের অভাবনীয় ইনিংসে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার শেষ চারের টিকেট নিশ্চিত হয়।