আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার সদস্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ মিশন খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে আসবে। এছাড়া কমনওয়েলথের প্রাক নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল ১৮ থেকে ২২ নভেম্বর ঢাকায় অবস্থান করবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরিন এসব তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘ নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে আরও কিছু আগ্রহী পর্যবেক্ষক দল আবেদন করেছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ সম্পর্কিত কোনও তালিকা নেই।’
সাংবাদিকদের অঅরেক প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সারিন জানান,‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য কোনও দেশ বা সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়নি।’
মিয়ানমারে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেহেলি সাবরিন বলেন, ‘পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের ঢাকা ত্যাগের বিষয়টির ব্যাপারে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবগত আছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্যটা পাবলিকলি জানাবে না। একজন রাষ্ট্রদূত কোথায় গেছেন, কতদিনের জন্য যাচ্ছেন, এটা কিন্তু অফিসিয়ালি জানাতে হয়। এটা কিন্তু পাবলিকলি জানানোর কথা কথা না। সেই হিসেবে আমরাও।’
বিদেশি দূতদের অবস্থান বিষয়ে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া বিষয়ে তিনি বলেন, প্রটোকল অনুযায়ী আমরা যেটা অনুসরণ করি এটা কিন্তু বাংলাদেশে যারা বিদেশি মিশন প্রধান বা রাষ্ট্রদূত আছেন, তারা যখন স্টেশন লিভ করেন তারা আমাদের প্রটোকলকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে যান।
সেহেলি সাবরিন বলেন,একইভাবে আমাদের রাষ্ট্রদূতরা যখন লিভ করেন হেডকোয়ার্টারকে জানাতে হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এবং ওখানকার সরকারকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে আসতে হয়। এ ছাড়া তার অবর্তমানে যাকে দায়িত্বে দেওয়া হয় তার নামটা প্রকাশ করতে হয়। এটা একটা কূটনৈতিক প্রক্রিয়া।
প্রসঙ্গত, বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কলম্বোয় গেছেন।