আর্কাইভ থেকে ইসলাম

যে রোজায় কোনও সওয়াব নেই

যে রোজায় কোনও সওয়াব নেই

পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখা ফরজ ইবাদত। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও যৌনতৃপ্তি থেকে বিরত থাকা হচ্ছে রোজার সাধারণ সংজ্ঞা। মানুষ এটিকেই রোজা বলে মনে করে থাকেন। আসলে রোজা শুধু না খেয়ে থাকা বা যৌন তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা নয়। রোজার কবুল হওয়ার জন্য আরও কিছু শর্ত রয়েছে। এগুলো পালন না করলে রোজা কবুল হবে না। শুধু পানাহার ত্যাগ করাই হবে।

হরজত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা কথা বলা এবং মিথ্যা আচরণ থেকে বিরত হলো না, তার ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকায় আল্লাহর কোনো‌ প্রয়োজন নেই।

হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা, চোখ, কানসহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সংযত করতে পারে না তার রোজা কোনো কাজেই আসবে না। (বিহারুল আনওয়ার)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন কোনো দিন রোজা রাখে, সে যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং গোলমাল-ঝগড়াঝাটি না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা কেউ তার সাথে ঝগড়াঝাটি করে তবে তার বলা উচিত- আমি রোজাদার।(বুখারি)

যথাযথ হকের সঙ্গে রোজা পালনে সচেষ্ট হতে হবে। রোজা রেখে অশ্লীল কাজে বা বাজে কথায় নিজেকে নিয়োজিত করা যাবে না। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ পরিত্যাগ করে না তার শুধু খানা-পিনা পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নাই।

তাই রোজার সওয়াব পেতে হলে তাকে যাবতীয় অবৈধ কাজও ত্যাগ করতে হবে। নিজেরে কাজের আত্মসমালোচনা করতে হবে। তাহলেই রোজা পূর্ণতা পাবে।

হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইমান ও এহেতেসাবের (আত্ম পর্যালোচনা) সঙ্গে রোজা রাখবে তার অতীতের গুনাহ-অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন রোজায় | কোনও | সওয়াব | নেই