হলিউডের সিনেমা থেকে এবার বাদ পড়লেন অভিনেত্রী মেলিসা বারেরা। পুরো নাম মেলিসা বারেরা মার্তিনেজ। ইসরায়েলের হামলার মধ্যে নিজের ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে গাজার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। এতেই কপাল পুড়েছে মেক্সিকোর এই অভিনেত্রীর। হলিউডের সিনেমা ‘স্ক্রিম’ থেকে বাদ পড়েছেন এই লাস্যময়ী।
গাজার প্রতি সমর্থন জানিয়ে কী লিখেছিলেন এই মেক্সিকান অভিনেত্রী? ৩৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী লিখেন,‘গাজার অবস্থা এখন অনেকটা বন্দিশিবিরের মতো। মানুষ গাদাগাদি করে থাকছেন; পানি ও বিদ্যুৎ নেই। আমাদের ইতিহাস থেকে মানুষ কিছুই শেখেনি। মানুষ মুখ বুজে এবারও সবকিছু দেখছেন। এটা গণহত্যা, গাজার মানুষকে জাতিগতভাবে নির্মূল করা হচ্ছে।’
হলিউডের ‘স্ক্রিম’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দুটি সিনেমায় অভিনয় করে সাড়া ফেলেছিলেন মেলিসা। চলতি বছর মুক্তি পাওয়া এই ফ্র্যাঞ্চাইজির ষষ্ঠতম সিনেমায় সবশেষ দেখা গেছে তাকে। সপ্তম সিনেমায়ও তার থাকার কথা ছিল।তবে গাজাকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট দেয়ায় সিনেমাটি থেকে তাকে বাদ দিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্পাইগ্লাস মিডিয়া।
চলমান ইসরায়েল-হামাস ইস্যুতে হলিউড পাড়া মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। বিশ্বখ্যাত এই চলচ্চিত্র পাড়ার কেউ ইসরায়েলকে সমর্থন করছেন, কেউ আবার গাজার নিরীহ মানুষের হয়ে আওয়াজ তুলছেন। তবে কাজ হারানোর মতো ঘটনা ঘটেনি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে এই প্রথমবার হলিউড সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন অভিনেত্রী মেলিসা বারেরা।
মেলিসা বারেরার বাদ পড়ার খবর প্রথম প্রকাশ করে ভ্যারাইটি। পরে স্পাইগ্লাস মিডিয়া গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইহুদি বিদ্বেষ বা যে কোনো বিদ্বেষমূলক অবস্থান আমরা সহ্য করব না। গণহত্যা, জাতিগতভাবে নির্মূল নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে তিনি সীমা লঙ্ঘন করেছেন।’
মেক্সিকান এই অভিনেত্রী ইসরায়েলকে ‘দখলদার’ উল্লেখ করে গাজায় চলমান গণহত্যার নিন্দা জানান এবং ইসরায়েলের পক্ষে পশ্চিমা মিডিয়া প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেন। ইনস্টাগ্রামে লেখেন,তিনি গাজায় হওয়া অন্যায় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন অনলাইন থেকে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা এবং জাতিগত নির্মূল’ হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন অভিনেত্রী।
এর আগে, মঙ্গলবার একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী সুসান সারানডনকে তাঁর সংস্থা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কারণ তিনি গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনপন্থী সমাবেশকে ঘিরে মন্তব্য করেছিলেন।