চিঠি এখনো আমার হাতে আসেনি। শুনেছি আমাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। যখন আমি হাতে পাবো, দেখবো, আমি পড়বো, ওই হিসাবেই রিপ্লাই দেবো। বললেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় সাকিব আল হাসানকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রিটার্নিং অফিসার ও মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সাকিব আরও বলেন, কীভাবে মাগুরার উন্নয়ন করা যায়? এজন্য আমরা একসাথে বসবো। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে ৪ তারিখে যখন আমাদের যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থিতা কনফার্ম হবে, তারপর আমরা বসে চেষ্টা করবো কীভাবে দুটি আসন থেকে নৌকার জন্য দুটি সিট নিতে পারি। যখন এটা কমপ্লিট হবে, তখন আমরা বসে আগামীর পথ নির্ধারণ করবো। অবশ্যই আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে যার যার এলাকা থেকে কাজ করে উন্নয়ন করার। সেগুলো আমরা আলাপ করে সুন্দরভাবে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করবো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার পরিকল্পনা চলছে। আমরাও তার ব্যতিক্রম নই।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে তলব করেছেন। আদেশে তাকে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, আপনি সাকিব আল হাসান, মাগুরা-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে মাগুরা আগমনের সময় পথিমধ্যে কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন এবং নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮ (ক), ১০ (ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন।
প্রসঙ্গত, মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) প্রথমবার নির্বাচনী এলাকায় যান সাকিব আল হাসান। এ সময় শত শত মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের শোডাউন দেখা যায়। যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ ওঠে।