ভূমিকম্পের ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ছেলেদের তিনটি ও মেয়েদের দুটিসহ মোট ৫টি আবাসিক হলে ফাটল দেখা দিয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি উৎপত্তিস্থল লক্ষীপুরের রামগঞ্জে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছেলেদের আবাসিক হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হল ও শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল এবং মেয়েদের নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানি ও শেখ হাসিনা হলের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পঞ্চম ও ৩য় তলার দক্ষিণ পাশের ব্লকের সামনের করিডরের মেঝের টাইলস উঠে গেছে। একই তলায় নতুন ও পুরাতন ব্লকের সংযোগ স্থলের করিডোরে ফাটল দেখা গেছে।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের দুতলার দেয়ালে, টিভি রুমের সামনের পিলারের সংযোগস্থলে নতুন ফাটল দেখা দিয়েছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের পাঁচতলার বিভিন্ন কক্ষে ফাটল এবং চারতলার সামনের করিডোরে ফাটল দেখা দিয়েছে।
হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, আজকের ভূমিকম্পটা খুবই ভয়াবহ ছিল। এমন ভূমিকম্প কোনোদিন অনুভব করিনি। হঠাৎ যেন সবকিছু কাঁপন দিয়ে উঠে আমরা হল থেকে দ্রুত বেরিয়ে যাই। আবার অনেকে চিৎকার দিয়ে উঠে। পরে এসে দেখি হলের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। পরে হল প্রাধ্যক্ষদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। যোগাযোগের পর বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ মো. তোফায়েল হোসাইন মজুমদার পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। এছাড়া সরেজমিনে ফাটলগুলো পরিদর্শন করেছেন তিনি। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী এসএম শহিদুল হাসান বলেন, ভূমিকম্পে যেসব ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কারণ এই ভবনগুলোর দেয়াল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ভূমিকম্প হলে মূল কাঠামোতে সরাসরি প্রভাব পড়ার আগেই দেয়ালে প্রভাব পড়বে এবং ঝাঁকুনিটা দেয়ালেই লাগবেই।
এএম/