আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

স্ত্রীকে গর্ভধারণের সুযোগ দিতে ‘প্যারোলে’ স্বামীর মুক্তি

স্ত্রীকে গর্ভধারণের সুযোগ দিতে ‘প্যারোলে’ স্বামীর মুক্তি

স্বামী জেলে বন্দি। যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন। এ অবস্থায় মা হতে চান স্ত্রী। কিন্তু কিভাবে সম্ভব? তাই মাতৃত্বের অধিকার চেয়ে ভারতের জোধপুর হাইকোর্টে মাতৃত্বের অধিকার দাবি করে ওই নারী। আবেদনে সাড়া দিয়ে হাইকোর্ট স্বামীকে শর্ত সাপেক্ষে প্যারোলে ১৫ দিনের মুক্তি দেয়া হয়েছে। 

গেলো শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারীকে গর্ভধারণের সুযোগ দিয়ে খুনের মামলায় দণ্ডিত স্বামী নন্দলালকে (৩৪) ইতোমধ্যেই মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে জোধপুর হাইকোর্ট।

আদালত মনে করছে, গর্ভধারণের সুযোগ পাওয়া ওই নারীর অধিকার। এই অধিকার থেকে কোনো নারীকে আইন বঞ্চিত করতে পারে না।

জানা যায়, একটি খুনের মামলায় নন্দলালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল রাজস্থানের ভিলওয়াড়া আদালত। রায়ের পর বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি কারাভোগ করছেন।

সম্প্রতি জোধপুর হাইকোর্টে তার স্ত্রী রেখা আবেদন করে জানান, তিনি মা হতে চান। স্বামী জেলে থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। একজন নারীর সন্তানধারণ প্রাথমিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে নন্দলালকে প্যারোলে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

জোধপুর হাইকোর্টের বিচারক সন্দীপ মেহতা এ আদেশের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, নন্দলাল জেলে থাকায় তার স্ত্রীর জীবনে প্রভাব পড়ছে। কিন্তু রেখা তো কোনো দোষ করেননি। ফলে তার দাবি গ্রহণযোগ্য।

বংশ বিস্তার ও সংরক্ষণ ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় দর্শনের মধ্যে পড়ে জানিয়ে বলা হয়, আদালত এর আইনগত বিষয়টি নজরে রেখেছে। এছাড়া একজন বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য, শান্তিপূর্ণভাবে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার ক্ষেত্রে তাকে পুনরায় উৎসাহী করা।

এর আগেও একবার ২০ দিন প্যারোল মঞ্জুর হয়েছিল নন্দলালের। সে সময় ভাল আচরণের পাশাপাশি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আত্মসমর্পণ করায় নন্দলালের প্রতি সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিল আদালত।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন স্ত্রীকে | গর্ভধারণের | সুযোগ | প্যারোলে | স্বামীর | মুক্তি