পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় আফগানিস্তানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৪৭ জনে। গেলো শনিবার (১৬ এপ্রিল) আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় দু’টি প্রদেশে হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
গেলো রোববার (১৭ এপ্রিল) আফগান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
শনিবার আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় খোশত এবং কুনার প্রদেশে পাকিস্তান বিমান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। হামলায় নিহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে কমপক্ষে ৩৬ বলে দাবি করা হয়েছিল। মূলত আফগান সীমান্তে গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসী হামলায় সাত পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর এই বিমান হামলার খবর সামনে আসে।
আফগানিস্তানের খোশত প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক শাবির আহমেদ ওসমানি রোববার বার্তাসংস্থা এএফপি’কে বলেন, খোশত প্রদেশের ডুরান্ড লাইনের কাছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় ৪১ জন বেসামরিক নাগরিক হয়েছেন। নিহত এসব মানুষের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া এই ঘটনায় আরও ২২ জন আহত হয়েছেন।
আরও দু’জন আফগান কর্মকর্তা খোশত প্রদেশে প্রাণহানির এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া কুনার প্রদেশের বিমান হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন বলে শনিবারই জানানো হয়েছিল।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আফগান ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করা সশস্ত্র যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নিতে রোববার তালেবান কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মূলত আফগান সীমান্তে গত বৃহস্পতিবারের সন্ত্রাসী হামলায় সাত পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর এই বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, ৭ সেনা হত্যার প্রতিশোধ নিতেই আফগান ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ করেছে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, গত বছর তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা বেড়েছে। ইসলামাবাদ বরাবরই অভিযোগ করে আসছে যে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আফগান ভূখণ্ড থেকে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে।
তাসনিয়া রহমান