দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বৈধ মনোনয়ন বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন রেকর্ড সংখ্যক ৫৬১ জন প্রার্থী। এবারের আপিলের মধ্যে কমপক্ষে ৩০টিরও বেশি আবেদন হয়েছে বৈধ ঘোষিত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি নির্বাচন কমিশনে শুরু হয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে (ব্যাজমেন্ট-২) এই কার্যক্রম শুরু হয়। আপিল শুনানিতে প্রার্থীদের বক্তব্য শুনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা রায় দিচ্ছেন।
প্রার্থীদের আপিলের রায় পর্যায়ক্রমে দেয়া হলো— টাঙ্গাইল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবীবেব আপিল নামঞ্জুর ও টাঙ্গাইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ অনুপস্থিত বলা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ এর আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান ও গোপালগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কবির মিয়ার আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে।
জামালপুর-২ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল হালিম মন্ডলের আপিল নামঞ্জুর ও জামালপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক জিয়ার আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে।
যশোর-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান ও যশোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম হাবিবুর রহমানের আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে।
নোয়াখালী-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালেবুজ্জামানের আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে। ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের আদেশ পরে হবে।
নেত্রকোনা-১ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী ছমীর উদ্দিনের আপিল নামঞ্জুর করা হয়েছে। খুলনা-৬ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুর আপিল নামঞ্জুর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আবদুচ সালামের আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে। বরগুনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমানের আপিলও মঞ্জুর করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র নিয়ে রিটার্নি কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করার সময়সীমা শেষ হয়। পাঁচ দিনে নির্বাচন কমিশনে ৫৬১টি আপিল জমা পড়েছে।
এ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশের ৭৪৭ স্বতন্ত্রসহ মোট দুই হাজার ৭১৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৩১টি বাতিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের হার ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর বৈধ মনোনয়নপত্রের হার ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।