আর্কাইভ থেকে জাতীয়

প্রথমে ট্রেনের সিটের ভেতরে আগুন দেয়া হয়: ডিএমপি কমিশনার

প্রথমে ট্রেনের সিটের ভেতরে আগুন দেয়া হয়: ডিএমপি কমিশনার
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভেতরের মানুষজনই আগুন দিয়েছে। যাত্রীবেশে উঠে ট্রেনে নাশকতা করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে একটি সিটে আগুন দেয়া হয়। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। বললেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রেনে নাশকতায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভোরে ঘটনা ঘটায় অনেক যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। একজন মা নাদিরা আক্তার পপি, যিনি তিন বছরের শিশুসন্তানকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। মা ও সন্তান উভয়ই বাঁচার চেষ্টা করছিলেন। তিনি বলেন, একজনকে আমরা আহত পেয়েছি, তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তার কাছ থেকে যতটুকু জানা গেছে, ট্রেনের ভেতর যারা ছিল তারাই আগুন দিয়েছে। তিনি দেখেছেন প্রথমে একটি সিটে আগুন দেয়া হয়। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এসময় যাত্রীরা যে যেদিকে পারেন ছোটাছুটি করতে থাকেন। কেউ জানালা দিয়ে, কেউবা দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। হাবিবুর রহমান বলেন, আমি মনে করি যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে তারাই এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছে। গাজীপুরে রেললাইন কেটে ফেলা হয়েছিল এবং সেখানে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া তেজগাঁওয়ে রেলের আগুনকেও আমি হত্যা বলতে চাই। তিনি আরও বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কোনো অবস্থাতেই পার পাবে না। অতীতেও পার পায়নি। বাস-ট্রেনে জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ও রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিহতদের মধ্যে বাকি দুজনের ডিএনএ সংগ্রহ করে অচিরেই তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হবে। এরপর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন প্রথমে | ট্রেনের | সিটের | ভেতরে | আগুন | দেয়া | হয় | ডিএমপি | কমিশনার