আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

চাঁদপুরের দুই গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন

চাঁদপুরের দুই গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন

আজ রোববার (১ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের কিছু মানুষ । এদিন সকাল ১০টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা হামিদিয়া ফাযিল মাদরাসা মাঠে।

জানা গেছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নাইজার, মালি ও আফগানিস্থানে চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে আজ ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে।

ঈদের জামাতের ইমামতি করেন সদ্রা দরবার পীর আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। মাদরাসা মাঠে মুসল্লিদের নিয়ে ইমাম ঈদের খুতবা পড়েছেন। এছাড়া একই অনুসারীদের মধ্যে পটুয়াখালী, দিনাজপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, জামালপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী ও বরিশালের কিছু এলাকায় পালিত হচ্ছে ,জানান সাদ্রা দরবার শরীফের পীর আরিফ চৌধুরী।

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবারের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব।

তিনি আরও বলেন, গেলো শনিবার (৩০ এপ্রিল) আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখে গেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে প্রাপ্ত হয়ে আজ তারা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটস্থ খানকা, আসকোনা এবং পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরিফে ঈদের জামাত হয়েছে। চাঁদ দেখার বিষয়টি যথাসময়ে পৌঁছে দিতে না পারায় অনেক গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়নি। তারা পরবর্তীতে ঈদ উদযাপন করবে।

উল্লেখ্য, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিবছর চাঁদপুরের তিনটি উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকে।

মেঘ হাসান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চাঁদপুরের | দুই | গ্রামে | ঈদুল | ফিতর | উদযাপন