আর্কাইভ থেকে জাতীয়

তৃতীয় জাতীয় সংসদ যে কারণে ভেঙে দিতে বাধ্য হন এরশাদ

তৃতীয় জাতীয় সংসদ যে কারণে ভেঙে দিতে বাধ্য হন এরশাদ
বাংলাদেশে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালের ৭ মে। তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরশাদ সরকারকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ , ন্যাপ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলন করছিলো। সেবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করে। তবে তখনকার সরকারদলীয় জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি( ন্যাপ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ) সহ ২৮ টি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়। ওই নির্বাচন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং স্বতন্ত্র সহ মোট ১৫২৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। মোট ভোটার ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৫ হাজার ৮শ’৮৬ জন। ভোট প্রদানের হার ছিল ৬১.১ শতাংশ। এরশাদ প্রেসিডেন্ট হিসেবে থেকেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠান করেন। তার দল জাতীয় পার্টি ৩০০ টি আসনের মধ্যে ১৫৩ টি আসনে জয়ী হয়। এই দলটি ৪২.৩৪ শতাংশ হারে ভোট পেয়েছিলো ১,২০,৭৯,২৫৯ টি। সেবার আওয়ামী লীগ ৭৬ টি আসন পেয়ে সংসদের প্রধান বিরোধী দল নির্বাচিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিলো ২৬.১৬ শতাংশ। এই দলটি ভোট পেয়েছিলো ৭৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫৭ টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ১৯৮৬ সালের ১০ জুলাই সরকার গঠন করে এরশাদ সরকার। রাষ্ট্রপতি হিসেবে এরশাদ দায়িত্ব পালন করলেও সরকার প্রধান ও সংসদ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মিজানুর রহমান চৌধুরি। ওই নির্বাচন অবাধ , নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু না হওয়ায়, সরকার গঠনের পরেই আবারো আন্দোলন শুরু করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। লাগাতার আন্দোলনের ফলে ১৯৮৭ সালের ৭ ডিসেম্বর, ১ বছর ৫ মাস মেয়াদ সম্পন্ন করা তৃতীয় জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি এরশাদ। ওই নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় নেতা-কর্মীরা বেগম খালেদা জিয়াকে আপোষহীন নেত্রীর খেতাব দেন। তৃতীয় জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১০ই জুলাই থেকে ২২শে জুলাই। মোট কার্যদিবস ছিল ৮ দিন। এই অধিবেশনে কোন বিল পাস হয়নি। তৃতীয় জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১০ই নভেম্বর। সেবার মোট কার্যদিবস ছিল ১ দিন। এই দিনেই একটি বিল পাস হয়। এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তৃতীয় | জাতীয় | সংসদ | কারণে | ভেঙে | বাধ্য | হন | এরশাদ