ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটির ১০ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।
আজ রোববার (৮ মে) সকালে ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াশকো এ তথ্য জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে রাশিয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যুদ্ধসংক্রান্ত নিয়মকানুন ভঙ্গ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। সূত্র: আনাদোলুর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুসের সঙ্গে রাজধানী কিয়েভে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াশকো বলেন, এ পর্যন্ত ১০ চিকিৎসক নিহত এবং ৪০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনীর আক্রমণে দেশটির প্রায় ৪০০ হাসপাতাল ও অন্যান্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করার সুযোগ হারিয়েছেন এবং ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা করার মতো ওষুধ পাচ্ছেন না। খবর রয়টার্সের।
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে মূল যুদ্ধক্ষেত্রগুলোর আশপাশের হাসপাতালগুলো ধ্বংস করার কারণে জরুরি অ্যান্টিবায়োটিকের সংকট দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি একটি দাতব্য মেডিকেলের উদ্দেশ্যে দেয়া ভিডিও বক্তৃতায় তিনি বলেন, এ পর্যন্ত রাশিয়ার সেনারা ৪০০ স্বাস্থ্যসেবা ইনস্টিটিউট: হাসপাতাল, প্রসূতি ওয়ার্ড, ক্লিনিক ধ্বংস বা ক্ষতিসাধন করেছে।
ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা করার মতো কোনো ওষুধ নেই। ডায়াবেটিসের ইনসুলিন নেই। পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। অস্ত্রোপচার করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি এমন যে, পর্যাপ্ত অ্যান্টিবায়োটিকও নেই।
গেলো ৯ মার্চ অবরুদ্ধ মারিউপোল শহরে একটি মাতৃসদন ধ্বংস ইউক্রেনের যুদ্ধে সবচেয়ে নিন্দিত ঘটনাগুলোর একটি।
এদিকে ইউক্রেনে দখলীকৃত এলাকায় করারোপ করা শুরু করেছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে আরও দুটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও পানিপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হয়। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালায়। এতে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলে।
তাসনিয়া রহমান