আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গাইবান্ধায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

গাইবান্ধায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও মিলছে না ডাক্তার। গাইবান্ধায় ২৮ লাখ লোকের জন্য জেলা হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে  দুই শতাধিক ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে নারী-পুরুষের পাশাপাশি শিশুদের সংখ্যা বেশী । ২০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে  কোন শয্যা খালি নেই। বাঁধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। আর অনেকেই হাসপাতলের এমন অবস্থা দেখে ভর্তি হয়েও বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ।

আজ মঙ্গলবার (১০ মে) গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায় মাহবুব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রোগীর চাপ বেশি হলেও আমাদের স্বাস্থ্যসেবার কোন ঘাটতি নেই। তবে জনবলের অভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘাটতি হচ্ছে।

এদিকে, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ১৩ মাসের ছোট শিশু মেহজাবিন হাসপাতলের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কান্নাকাটি করছেন। মা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন আর পার্শ্বে নান- নানী বসে আছেন। তারা এই ছোট মহেজাবিনকে নিয়ে গত সোমবার দুপুরে ভর্তি হয়েছেন।

মেহজাবিননের মা মিনতি বেগম জানান,  বাচ্ছাটা অস্তবিস্ত করছে ডাক্তারের কোমা খবর নাই। ছলটা যা খাচ্ছে তাই বমি করছে। আপারা খালি স্যালইন টাকছেন। বড়ো ডাক্তারক না দ্যাখালে ছলটার কি যে হয় মোর? ছলটা ভালো করার জন্য সেই চর থেকে আব্বাক মাক সাথে করে নিয়ে আনু।

হাসপাতালে মেঝের বারান্দায় রোগীর আত্নীয়-স্বজনসহ ৬-৭ জন বসে আছে। তাদের সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা জানান, ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে আছি। হাসপাতালে তো একটি বেডও ফাঁকা নেই। তাই এখানে বসেই গল্পগুজব করছি।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স শ্রী বিউটি রানী জানান, এ ওয়ার্ডে যেসব রোগী ভর্তি হচ্ছে । আমারা আমাদের সাধ্য মতে সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। এ সময়টা ডায়রিয়া রোগী সংখ্যা একটু বেশি। আজ সকাল ৮ থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩৮ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন রোগীই শিশু।

মেঘ হাসান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গাইবান্ধায় | বেড়েছে | ডায়রিয়ার | প্রকোপ