নির্বাচনে যাতে মানুষ ভোট না দেয় সেজন্য বিএনপি অনেক বাধা দিয়েছে। দেশের মানুষ সকল বাধা উপেক্কষারে ভোট দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এবার গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত স্বতস্ফূর্ততা ছিল। ১৩০ বছরের বুড়ি মা ভোট দিতে এসে জানিয়েছে, হাসিনাকে ভোট দিতে এসেছি। এবার কেউ বলতে পারবে না, দিনের ভোট রাতে হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির ভাগ্য গড়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের কোনো কিছু ছিল না। থাকার ঘর ছিল না, বাড়ি ছিল না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল এ দেশের মানুষ। সেই জাতির জন্য, তাদের ভাগ্য গড়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। অনেক সংগ্রাম ত্যাগের মধ্য দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ফিরে এসেছিলেন এই বাংলাদেশে। সবার আগে ছুটে এসেছিলেন এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। যেখানে তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার জীবনটা উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের জনগণের জন্য।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, এ দেশে মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, কী কী কাজ করা দরকার, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশকে কীভাবে তিনি গড়ে তুলবেন সেই সব বিষয়ে তিনি ভাষণেই উল্লেখ করেছিলেন। যে ভাষণ তিনি এ জায়গায় দিয়েছিলেন। এই ভাষণ যখন শুনি আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই। দীর্ঘ ৯ মাস কারাগারে বন্দি ছিলেন। সেখানে তাকে ঠিকমতো খাবারও দেয়া হতো না। সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছিল তাকে। তার ফাঁসির হুকুম হয়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে লন্ডন হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছিলেন তিনি। দেশে পা রেখেই ছুটে যান বাংলার জনগণের সামনে। ১০ জানুয়ারি এখানেই তিনি ভাষণ দেন। সেই ভাষণে একটি দেশের ভবিষ্যৎ, উন্নয়ন, সব পরিকল্পনা, দুঃখী মানুষের হাসি ফোটানোর পরিকল্পনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ, সেটাই তিনি তুলে ধরেছিলেন।
