আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পে অনেক ব্যয় হচ্ছে। তারা খরচের দিকটা দেখেন। ব্যয় হলেও এটা আমাদের কতটা সুফল বয়ে আনবে, মানুষ কতটা উপকৃত হবে, এটা দেখেন না। আমার অনুরোধ থাকবে- রাজধানীতে বসে সমালোচনা না করে গ্রামে যান। গ্রামাঞ্চলের বাস্তব চিত্র দেখেন; পরিবর্তনটা কোথায় হয়েছে, কতটুকু হয়েছে বুঝবেন। মানুষ যে আমাদের বিভিন্ন উদ্যোগের সুফল ভোগ করছে, সেটা দেখতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১৬ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-এর বাস্তবায়ন পর্যালোচনার জন্য দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আমাদের লক্ষ্য। তাদের উন্নত জীবন দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এ প্রকল্পগুলো শেষ হলে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। তবে সম্পদ ও অর্থের কার্যকর ব্যবহার ও অপচয়রোধ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটা ধাক্কা লেগেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, টেলিভিশন উন্মুক্ত করে হয়েছে। এখন সবাই কথা বলতে পারেন। টকশো করতে পারেন। সারাদিন টেলিভিশন টকশোতে কথা বলেও বলবে, ‘আমাদের কথা বলতে দেয়া হয় না’। অথচ কারও তো মুখ চেপে ধরা হয়নি। কারও তো গলা টিপেও ধরা হয়নি!
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে সারাদেশে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩টি গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি বানিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও কক্সবাজারে ৬৪০টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে নতুন বাড়ি করে দিয়েছি; ২০২৩ সালের মধ্যে মোট ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার নতুন বাড়ি পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করলে ২০৩০ সালের আগেই নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন এবং ২০৪১ সালের আগে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমর্থ হবো।
তাসনিয়া রহমান