ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। অভিনয়ের পাশাপাশি জীবনে প্রতিটি মুহূর্ত উদযাপন করতে ভালোবাসেন তিনি। শত বৈরী পরিবেশের মধ্যে থেকেও আনন্দ-হাসিতে সময় পার করতে পছন্দ করেন পরী। যেখানেই পরীমণি যান, সেখানটিকেই যেন উৎসবমুখর করে তোলেন। তিনি তার বরিশালের গ্রামের বাড়িতে গেছেন। সেখানের প্রতিটিক্ষণ আনন্দে রাঙিয়ে তুলছেন। এসব মুহূর্তের দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করে ভক্ত-অনুাগীদের সঙ্গে শেষার করতেও ভুল করছেন না পরী।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) পরীমণি তার দলবল নিয়ে হানা দিয়েছিলেন গ্রামের সরিষার ক্ষেতে! সেই মুহূর্তের ছবি প্রকাশ করেছেন তার ফেসবুকে।
ছবিগুলো ফেসবুকে প্রকাশ করে পরীমণি লিখেছেন, ‘এই ছবিগুলোর পেছনের গল্পটা অনেক অ্যাডভেঞ্চারাস (রোমাঞ্চকর) ছিল। গাড়িতে বাবুকে (পরীমণির ছেলে রাজ্য) ঘুমে রেখে একটা আননোন (অপরিচিত) মার্কেটে নাক মুখ চাদরে ঢেকে নেমে পরলাম শাড়ি খুঁজতে। পাই না পাই না, পাই তো পছন্দ মতো হয় না, যাই হোক হলো। হতেই হতো আর কি! এবার পালা শাড়ির ব্লাউজ! ওহ সেকি কাণ্ড! সেটাও ম্যানেজ করে ফেললাম শেষমেষ।’
দিনের সময়টাকে ধরে রাখার কথা বলে পরীমণি লিখেছেন, ‘ওদিকে রোদ চলে যায় যায়। দুপুরের খাওয়া হয়নি তখনো। পেটে খিদে নিয়ে কি আর এমন সুন্দর মাঠে নেমে হিহি করা যায়। উড়ে এসে ঘরে ঢুকেই পেট ভরে হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খেলাম। তখন সূর্য গাছের নিচে! এর মধ্যে আমরা রেডি হয়ে মাঠে হিহি হাহা করতে করতে এতো সুন্দর কিছু মুহূর্ত ধরে রাখতে পারলাম।’
আনন্দ উচ্ছ্বাসের মুহূর্তের কথা উল্লেখ করে পরীমণি লেখেন, মোট কথা হলো ‘ও পরী আপু চলো না সবাই এক রকম শাড়ি পরে সরিষার মাঠে ছবি তুলি।’
ল।
সবশেষে পরী লেখেন, ‘আর আমি এই মহাযজ্ঞটি ঘটিয়েছি দেড় ঘণ্টারও কম সময়ে। তোরা যখন আমার বয়সের হবি তখন আমার মতো করে তোদের ছোটদের সাথেও এমন সুন্দর কিছু মেমোরি জীবনে বাঁধাই করে রাখিস। এসব পাগলামি জীবনকে আনন্দে বাঁচায়। কাজিনস ফরএভার।’
এএম/