স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দিল্লি পাশে থাকবে। নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আরও গতিশীল হবে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, টাকা ও রুপিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও জোরদার করবে ঢাকা ও দিল্লি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাকে দিল্লি সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশনার। আমন্ত্রণের বিষয়টি তারা গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে সুবিধাজনক সময়েই ভারতের আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে চান তিনি। প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে স্পষ্টতই ভারতে যেতে চান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, "চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য উত্তর-পূর্ব প্রদেশগুলোতে নিয়ে যাওয়া একটি দীর্ঘদিনের ইস্যু। বহুদিনের পুরোনো এই ইস্যু নিয়ে আমরা কাজ করছি। এখন কিছুটা হচ্ছে, এটিকে আরও সম্প্রসারিত করতে আমাদের অবকাঠামো নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নীতিকাঠামো নিয়েও কথা বলেছি। ছোটোখাটো কিছু বিষয় আছে, সেগুলো হয়ে গেলেই চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে রামগড় ও আখাউড়া দিয়ে পণ্য পরিবহন শুরু হবে।"
তিনি আরও বলেন, "গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভারত আমাদের পাশে ছিল, আছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল, ভারত আমাদের পাশে ছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল, তখনও ভারত আমাদের সঙ্গে ছিল। এবারও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভারতের অবস্থান কী ছিল, তা আপনারা জানেন।"
প্রসঙ্গত, বহুপাক্ষিক সফরে আগামী ১৭ জানুয়ারি উগান্ডা সফরে যাবেন বলে জানান হাছান মাহমুদ।
আই/এ