অবশেষে গাজায় ওষুধ এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে। এর আগে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যকার চুক্তির অংশ হিসেবে গাজায় মানবিক সহায়তা এবং ওষুধ প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি সরকারের সমর্থনে কাতার সরকার এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে। ফলে গাজার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের কাছে ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি মিলেছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৪৫ ইসরায়েলি বন্দিকে ওষুধ সরবরাহের বিনিময়ে এই চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছে ইসরায়েল। কাতারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ওষুধ এবং মানবিক সহায়তা দোহা থেকে মিশরে গেছে। পরে সেখান থেকে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এগুলো গাজায় পৌঁছে দিয়েছে।
বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতার ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার দুপক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী, নিজেদের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের শারীরিক ও স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে হামাস। তার বিনিময়ে গাজা উপত্যকায় আরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী ঢুকতে দেবে ইসরায়েল।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে জানান, এ চুক্তি অনুযায়ী গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সুরক্ষা দেবে হামাস। আর গাজার সবচেয়ে বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ বেসামরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণসামগ্রী ও হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের জন্য ওষুধের প্রথম চালানটি বুধবার কাতারের রাজধানী দোহা থেকে মিশরের উদ্দেশে পাঠানো হবে। তারপর সেখান থেকে ত্রাণ ও জিম্মিদের জন্য ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস যাবে গাজায়।