ইউক্রেন-রাশিয়া, ইসরায়েল-হামাসের পর সাম্প্রতিক পাকিস্তান-ইরান। যুদ্ধের হাওয়া গোটা বিশ্বজুড়ে। এই অবস্থায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সমীক্ষা করেছে সামরিক শক্তির বিচারে কোন দেশের অবস্থান কোথায়।
এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুতিনের দেশ রাশিয়া। ভারতকে টেক্কা দিয়ে তৃতীয় স্থানে চীন, চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। ১৪৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭ তম স্থানে।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার মিলিটারি স্ট্রেংথ নামের সংস্থাটি বিশ্বের সমস্ত দেশের সমরশক্তির সমীক্ষা চালিয়েছে। এই সমীক্ষা চালানো হচ্ছে ২০০৬ সাল থেকেই। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ১৪৫ দেশের ষাটটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে মাথায় রেখে দেশগুলির সেনাশক্তির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই ষাটটি ‘ফ্যাক্টর’ ঠিক কী কী? এর মধ্যে রয়েছে বাহিনীতে সেনার সংখ্যা, সামরিক সরঞ্জাম, অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা, ভূপ্রাকৃতিক অবস্থান, মজুত থেকে রসদ প্রভৃতি। যাবতীয় বিচার করেই ‘পাওয়ার ইনডেক্স স্কোর’ দেওয়া হয়েছে দেশগুলিকে। তার ভিত্তিতেই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার মিলিটারি স্ট্রেংথের ব়্যাঙ্কিং স্কোর অনুযায়ী ২০২৪ সালে আমেরিকা স্কোর করেছে ০.০৬৯৯, রাশিয়া ০.০৭০২, চিন ০.০৭০৬। ভারত স্কোর করেছে ০.১০২৩। পাকিস্তান রয়েছে সপ্তম স্থানে। ১৪৫টি দেশের মধ্যে সকলের নিচে ঠাঁই হয়েছে ভুটানের। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশিয় প্রযুক্তিতে একের পর এক মিশাইল, যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, হেলকপ্টার তৈর করেছে ডিআরডিও। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ভারত প্রতিরক্ষা খাতে ৭২৬০ কোটি আমেরিকান ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। যা বিগত অর্থবর্ষের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।