আন্তর্জাতিক

বিদায়ী বছরে রেকর্ড সংখ্যক মানবিক বিপর্যয় দেখেছে বিশ্ব

বিদায়ী বছরে রেকর্ড সংখ্যক মানবিক বিপর্যয় দেখেছে বিশ্ব
প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে বিদায়ী বছর ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। গেলো বছর যত সংখ্যক বিপর্যয় ঘটেছে তত সংখ্যক বিপর্যয় বা দুর্যোগ গত এক দশকের মধ্যে ঘটেনি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি)  এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সদ্য বিদায় নেয়া বছরটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্তত ২৯টি দেশ প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ৪৩ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এ প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের বড় এবং উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের একটি তালিকাও করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। তালিকায় স্থান পেয়েছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্প, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক আরএসএফের সংঘাত, মে মাসে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোচা, গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধসহ বিভিন্ন ঘটনা। বাস্তুচ্যুত বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। একই বছর লিবিয়ার ৫ প্রদেশে প্রবল বর্ষণ এবং বানের জলে বাড়িঘর ও সহায় সম্পদ হারিয়েছেন ৯ লাখ মনুষ। ঘুর্ণিঝড় মোচার জেরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ১ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে সুদানে। সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর সংঘাতে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৭০ লাখ মানুষ। প্রসঙ্গত, বছরজুড়ে এসব দুর্যোগের ক্ষেত্রে ইউএনএইচসিআর এর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়া এবং সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে ইউএনএইচসিআর পরিচালিত শরণার্থী শিবিরগুলোতে বর্তমানে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ আশ্রিত অবস্থায় রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিদায়ী | বছরে | রেকর্ড | সংখ্যক | মানবিক | বিপর্যয় | দেখেছে | বিশ্ব