আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ফুলবাড়ীতে রাতের আধাঁরে সরকারি গাছ কর্তন

ফুলবাড়ীতে রাতের আধাঁরে সরকারি গাছ কর্তন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রাতের আধাঁরে বিডিআর বাজার টু- আনন্দ বাজার সড়কের ৬টি গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। যার আনুমানিক মূল্য অর্ধলক্ষাধিক টাকা বলে জানান স্থানীয়রা।

শুক্রবার ঝরবৃষ্টির রাতে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল এলাকায় রাস্তার গাছ কর্তনের ঘটনা ঘটে।

গভীর রাতে সরকারি গাছ কর্তনের বিষয়টি ঐ এলাকার সচেতন মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। রাতের আধাঁরে সরকারি গাছ কাটার খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাসেন আলী শনিবার দুপুরে গাছ উদ্ধারের জন্য ঐ এলাকার ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিনসহ তিনজন গ্রাম পুলিশকে নিদের্শন দিলে তারা চর-গোরকমন্ডল আনন্দ বাজার সংলগ্ন জয়নালের ‘ছ’ মিল থেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকার ৬ টি গাছ উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে।

শনিবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে একাধিক সুত্রে জানা গেছে, ঐ এলাকার জবরুলের ছেলে সুলতান মিয়া (৩৭) এর নেতৃত্বে ঐ এলাকার ৮ থেকে ১০ জন যুবক রাতের আধাঁরে সড়কের ৬ টি গাছ কেটে রাতেই কাটা গাছগুলো ঐ এলাকার ঘোড়ার গাড়ী চালক ফজর আলী ও তার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস গাড়ীতে করে ‘ছ’ মিলে নিয়ে আসে এবং সেখানেই গাছগুলো রাখেন। গাছ কাটার বিষয়টি নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসেন আলীকে জানালে তিনি ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিনের মাধ্যমে কাটা গাছগুলো উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় গাছ কাটা মিস্ত্রি শুক্কুর আলী (৪৭) জানান, আমি মিস্ত্রি কাজ করি, সুলতান ভাই বলেছে। তাই ১ হাজার টাকার চুক্তিতে আমার ছেলেসহ ৬ টি গাছ কেটে দিয়েছি।

গাছ কাটার বিষয়টি সুলতান মাহমুদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গাছ কাটার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তবে গাছগুলো চেয়ারম্যানের লোকজন এসে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান। 

ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন জানান, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। চেয়ারম্যান মহোদয় আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। আমি সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ খবর নিয়ে গাছগুলো আনন্দ বাজারের পাশে আয়নাল হকের ছ মিলে থেকে উদ্ধার করি। পরে চেয়ারম্যানের নিদের্শে তিনজন গ্রাম পুলিশ আসলে শনিবার শেষ বিকালে ট্রলি যোগে গাছগুলো পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়। গাছগুলো কেটেছে কে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন এলাকার কিছু প্রভাবশালী যুবক কেটেছে। তবে যারা এই সরকারি গাছ কর্তন করেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোড় দাবী জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাসেন আলী জানান, গাছ কাটার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঐ ওয়ার্ডের  ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিনের মাধ্যমে ৬টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ছ মিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গাছগুলো বর্তমানে আমার পরিষদে আছে। তবে এভাবে কেউ রাতের আধাঁরে সরকারি গাছ কর্তন করবে এটা কখনো ভাবতে পারিনি। গাছ যেই কাঠুন এটা চরম অন্যায় করেছে। গাছ কাটার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের নির্দেশ ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ফুলবাড়ীতে | রাতের | আধাঁরে | সরকারি | গাছ | কর্তন