গত বৃহস্পতিবার ভারতে মুক্তি পেয়েছে হৃতিক রোশন ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ফাইটার। বাংলাদেশেও মুক্তির অনুমতি পেয়েছিল ছবিটি। গেলো শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শনের কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে ছবিটি মুক্তি পায়নি। জানা গেছে, আগামী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে না এই ছবি।
সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ অনুরোধ জানিয়েছে, আর কদিন পরেই শুরু হচ্ছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এই মাসে কোনো ভিনদেশি ভাষার সিনেমা দেশের প্রেক্ষাগৃহে না প্রদর্শনের।
পরিষদের সদস্যসচিব শাহ আলম কিরন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় হিন্দি ছবি ফাইটার আমদানি করে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (ভাষার মাসে) প্রদর্শন না করে তার পূর্বে কিংবা পরে মুক্তিদানের অঙ্গীকার করে একটি অঙ্গীকারনামা আমাদের সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ অনুকূলে জমা দেয়ার বিশেষ অনুরোধ করছি।’ ওই চিঠিতে ভাষার মাসে হিন্দি ছবি মুক্তি না দিতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অনন্য মামুনের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অনন্য মামুন জানিয়েছেন, ফাইটার বাংলাদেশে তারা মুক্তি দেবেন না। কারণ, ভারতীয় প্রযোজক ছয় দিনের জন্য এত বড় বাজেটের সিনেমা এখানে মুক্তি দেবেন না। তাই মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তারা। সিদ্ধার্থ আনন্দের ফাইটার সিনেমায় হৃতিক-দীপিকা ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনিল কাপুর, করণ সিং গ্রোভার ও অক্ষয় ওবেরয়।
সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘ফাইটার’ মুক্তির আগে ‘শের খুল গায়ে’ ও ‘ইশক জ্যায়সে কুচ’ ছবির এ দুটি গানে মেতে ওঠেন হৃতিক ও দীপিকার ভক্তরা। এর আগে গেলো মঙ্গলবার রাতে ছবিটি ঘিরে নিষিদ্ধের খবর পাওয়া গেছে।
ভারতের চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী বিশেষজ্ঞ ও পরিচালক গিরীশ জোহর এক্সে জানিয়েছেন, ‘ফাইটার’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলজুড়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতে পিজি-ফিফটিন ক্যাটাগরিতে ছবিটি মুক্তি পাবে। আর তাই বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরবের মতো দেশের সিনেমাপ্রেমীরা প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলোতে ‘ফাইটার’ মুক্তির ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার কারণ স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
এএম/