হিমালয় খ্যাত শীত প্রবন উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে রোববার তাপমাত্রা ৫ এর ঘরে নেমে এসেছে। যা দেশের অন্যত্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। পঞ্চগড়ে টানা তিনদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। হাড়কাঁপানো তীব্র মাঘের এই শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষ। তীব্র এই শীতে মানুষের জবুথবু অবস্থা। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সারা রাত বৃষ্টির পানির মতো কুয়াশা পড়েছে। কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছে পথ-ঘাট ও ঘর-বাড়ি। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় কাবু হয়ে পড়েছে এই এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১ শত শতাংশ। এর আগে গেলো শনিবার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে সোমবার দুপুরের পর কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও উষ্ণতা ছড়াতে পারেনি। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার কারণে সকালে সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। গায়ে শীতের পোশাক জড়িয়ে কাজে যেতে দেখা গেছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষদের। আবার সকালে ও সন্ধ্যায় কেউ কেউ খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই এলাকার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। এদিকে টানা প্রায় এক মাসের কনকনে শীতে জেলার বিভিন্ন বাজারের পুরোনো শীতের কাপড়ের দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ শীত নিবারণ করতে পুরোনো গরম কাপড় কিনছেন। এ ছাড়া ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঠান্ডাজনিত এসব রোগ এড়াতে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
এএম/
