নকল পুরুষ সেজে রাজশাহীর এক তরুণী আরেক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে লাপাত্তা হয়েছিলেন। ১০ দিন পর তারা বাড়ি ফিরলে এক তরুণীর নকল পুরুষ সেজে থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।
গেলো শুক্রবার (২৭ মে) ওই তরুণীর কাছ থেকে পরিবারের সদস্যরা একটি নকল পুরুষাঙ্গ উদ্ধার করেছে, যা পুলিশ জব্দও করেছে। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর মহল্লার এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, এই দুই তরুণীর মধ্যে একজনের বয়স ২২ বছর। অন্যজনের বয়স ১৯। দু’জনেই বিবাহিত ছিলেন। ২২ বছরের তরুণীর সাতমাস আগে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি ঘোষণা দেন যে, তিনি পুরুষে রূপান্তর হয়েছেন। এসময় তিনি নিজের নাম রাখেন ফাহিম।
কথিত ফাহিমের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার হুজরাপুর গ্রামে। একই গ্রামেই ১৯ বছরের তরুণীর স্বামীর বাড়ি ছিল। সম্পর্কে তিনি ফাহিমের চাচি। ফাহিমের দেড় বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তবে আরেক তরুণীর সন্তান নেই। এক মাস আগে তিনিও স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। তার আগেই ফাহিমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পুরুষ সাজতে ছেলেদের প্যান্ট-শার্ট পরতে শুরু করেন কথিত ফাহিম। চুলও ছেঁটে রাখেন ছেলেদের মত করে। ১০ দিন আগে দুই তরুণী ঢাকায় পালিয়ে যান। এ নিয়ে ফাহিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়। মাদারপুরের তরুণীর পরিবার বাড়ি ফেরার জন্য বললে বৃহস্পতিবার রাতে তারা দু’জনে বাড়িতে আসেন। এরপর ফাহিম আসলেই পুরুষ হয়েছেন কি না? তা নিয়ে বিতর্ক উঠলে গতকাল শুক্রবার (২৭ মে) সকালে পরিবারের সদস্যরা ফাহিমের প্যান্ট খুলে উদ্ধার করেন একটি নকল পুরুষাঙ্গ। পুলিশ নকল পুরুষাঙ্গটি জব্দও করেছে।
মাদারপুরের মেয়েটি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে, দুজনে ঢাকায় গিয়ে বিয়ে করেছেন। তবে তিনি বিয়ের কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। বিয়ের কাবিননামা ফাহিমের কাছে ছিল। তিনি পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, বিয়ের আগে ও পরে ফাহিমের সঙ্গে তার শারীরীক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু ফাহিম যে নকল পুরুষ সেজেছিলেন তা তিনি বুঝতে পাননি। তবে ফাহিমের বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই বলেও তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, তাদের এই সম্পর্ক কোন আইনের ভেতরেও পড়ে না। তাই জিডির ভিত্তিতে ফাহিম নাম ধারণ করা মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য মেয়েটিকেও তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
