মানসিক চাপ, প্রবল ধকল, রোদে দীর্ঘ ক্ষণ বাইরে থাকা, এই সব কারণে মাথা ব্যথা হতেই পারে। কিন্তু মাথার যন্ত্রণার সঙ্গে যদি থাকে বমি, ভুলে যাওয়া ও আচমকা ব্ল্যাক আউটের মতো উপসর্গ থাকে, তা হলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে। এ সব উপসর্গ মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণ হতেই পারে। ব্রেন টিউমার শব্দটি কানে এলেই আতঙ্ক দানা বাঁধে মনে। অথচ সঠিক সময় ধরা পড়লে আধুনিক চিকিৎসার সাহায্য নিয়ে ব্রেন টিউমারের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন নয়। তবে টিউমার যদি ক্যানসারের পর্যায় পৌঁছয়, তা হলে সেটা চিন্তার বিষয়। তবে তার জন্য রোগীকে সতর্ক থাকতে হবে। কোন কোন লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন, জেনে নিন।
১. এই অসুখের অন্যতম উপসর্গ হল মাথায় তীব্র যন্ত্রণা। টিউমারের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথার ধরনটা আলাদা হয়। এ ক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র মাথার যন্ত্রণা হয় রোগীর।
২. জ্বর নেই তবুও শরীরে কাঁপুনি শুরু হয়। কিছু ক্ষণ পর আপনা থেকেই স্বাভাবিক হয়ে যায়। মাথাব্যথার সঙ্গে সারাক্ষণ বমি বমি ভাব, খাবারে অনীহা হতে পারে।
৩. স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনার কথাও কিছুতেই মনে পড়তে চায় না।
৪. সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে, ঘুম পায়। কোনও কাজ করতে আলস্য আসে।
৫. মস্তিষ্কের কোন অংশে টিউমার হয়েছে তার উপরেও কিছু কিছু লক্ষণ নির্ভর করে। সেরিব্রামের টেম্পোরাল লোবে টিউমার হলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
৬. হাত-পা নাড়াচাড়া করতে সমস্যা হয়। হাঁটাচলার সময় ভারসাম্য বজায় থাকে না। ভাবনা ও বলার মধ্যে তালমিলের অভাব হতে পারে।
৭. হাত দিয়ে কোনও জিনিস শক্ত করে ধরতে সমস্যা হয়। হাতে জোর কমে যায়।
৮. ঢোঁক গিলতে ও খাবার খেতে অসুবিধা হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে গন্ধের বোধ চলে যায়।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, পুষ্টিকর খাদ্যাভাস ও নিয়মিত শরীরচর্চা করে ব্রেন টিউমার ঠেকানো যায়। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। রেডিয়েশনের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। আলোচ্য উপসর্গগুলি দেখা দিলে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।